বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণার সময় এ পর্যবেক্ষণ দেন।
হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণ বলেন, প্রতিহিংসা থেকে এ বিচার করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সব আসামি নিরপরাধ। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সর্বসম্মতিক্রমে দেয়া রায়ে এটি বলা হয়। মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ আর পুরো বিচারের প্রক্রিয়াটিই ছিল প্রতিহিংসামূলক।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, বেগম জিয়া, তারেক রহমানসহ আসামিদের যে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, আজ নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় হারানো সম্মান ফিরে পাবেন তারা।
আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় হলো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে তাকে। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা মামলাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করা হলেও কর্ণপাত করেননি কোনো আদালত। অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামি।
আরও পড়ুন: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা ও তারেক
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন। অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ৫ বছরের সাজা হওয়ায় কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। পরে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিএনপির নেত্রীর সাজা বাড়িয়ে করা হয় ১০ বছর। এ মামলায় ২ বছর ১ মাস ১৩ দিন জেল খাটেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
]]>