মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এ কথা বলেন।
গাজা থেকে সব বন্দিদের মুক্তি দেয়ার পর ইসরাইল আবার যুদ্ধ শুরু করবে না, এ বিষয়ে আরব অংশীদারদের আপনি নিশ্চয়তা দিতে পারেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রাথমিক নিশ্চয়তা হলো—যদি এই চুক্তি সম্পন্ন হয়, আর বর্তমানে আলোচনাও চলছে, তাহলে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমাদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে এবং আমরা তা প্রয়োগ করব যেন সবাই চুক্তি মেনে চলে।’
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দুই বছরে আর্থিক ক্ষতি ৬৮০০ কোটি ডলার!
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাকে কূটনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের যুদ্ধের খরচ প্রকল্পের হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা বাবদ প্রায় ২১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গাজা শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল মিশরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক অস্ত্র মোকাবিলা করেও যেভাবে টিকে আছে হামাস
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, শুধু গাজা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরে চলা হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে প্রথমদিনের আলোচনা ‘ইতিবাচক পরিবেশে’ শেষ হয়েছে বলে মিশরীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে আল জাজিরা।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে ইসরাইল। হামাসও কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি বড় অমীমাংসিত বিষয় রয়ে গেছে।
সূত্র: আল জাজিরা