জিম্মি চুক্তির দাবিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ

৮ ঘন্টা আগে
গাজায় হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নতুন করে বড় অভিযান শুরুর পর এই বিক্ষোভ হলো।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৭ মে) গাজায় জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তির দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বিক্ষোভে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক অংশ নিয়েছেন। জিম্মিদের পরিবারগুলো আশঙ্কা করছে, গাজায় ইসরাইলের নতুন অভিযান জিম্মিদের মুক্তির যেকোনো সম্ভাবনাকে ব্যাহত করতে পারে, এমনকি তাদের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

 

হামাস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকান-ইসরাইলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তির কয়েকদিন পর এই বিক্ষোভ হলো। গত ফেব্রুয়ারির পর এডানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: গাজার ‘দখল ও নিয়ন্ত্রণ’ নিতে ইসরাইলের বড় ধরনের অভিযানের ঘোষণা

 

এর আগে বৃহস্পতিবার হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে চুক্তির দাবিতে জনসাধারণকে তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে আসার আহ্বান জানিয়েছিল।

 

এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘এডানের প্রত্যাবর্তন অবশ্যই এমন একটি চুক্তির সূচনা হবে যা ৫৮ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। সময় ফুরিয়ে আসছে, বিশ্ব দেখছে এবং ইতিহাস ক্ষমতা করবে না।’

 

ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক বলেছেন, নেতানিয়াহুর নীতিই বন্দিদের বিপন্ন করছে। তিনি জনগণকে ‘নাগরিক বিদ্রোহে’ অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: গাজাবাসীর আর্তনাদ / ‘আমার বাচ্চারা অনাহারে ঘুমায়’

 

এদিকে অপারেশন গিডিয়নের চারিয়টস নামে নতুন সামরিক অভিযানে গাজায় একদিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪৬ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

 

ইসরাইলের দাবি, তারা গাজায় অবস্থিত সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করছে। ‘অপারেশন গিডিয়নের চারিয়টস’-এর আওতায় গাজার ভেতরে আরও একটি বড় স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার কৌশলগত এলাকা দখল করতে এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে এ ধরনের বড় অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।

 

তবে আন্তর্জাতিক মহল বলছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। বাগদাদে আরব লীগ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, গাজা উপত্যকায় গোটা জনসংখ্যাকে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং খাবার, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা এক ধরনের সম্মিলিত শাস্তি।

 

সম্মেলনে গাজার পুনর্গঠনে দুই কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক ইরাক। এছাড়া লেবাননের পুনর্গঠনেও দুই কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন