জিম্বাবুয়ে পারলেও পারে না বাংলাদেশ

২ সপ্তাহ আগে
দীর্ঘ ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। দুই দেশের রাজনৈতিক শীতলতা কাটিয়ে, এফটিপি সূচির বাইরে গিয়ে এই সিরিজ আয়োজনে কৃতিত্ব দেশটার ক্রিকেট বোর্ডের। তবে জিম্বাবুয়ে পারলেও পারছে না বিসিবি। গত ১৫ বছরে দেশের ক্রিকেট বোর্ডে অনেক পরিবর্তন আসলেও, ইংল্যান্ড সফর আয়োজনে সফল হয়নি কেউ, সম্ভাবনা নেই অদূর ভবিষ্যতেও।

চড়াই-উতরাই কিংবা নিষেধাজ্ঞা। ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে দেখেছে সবই। নানান প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে ব্যাট-বলের খেলায় সুদিন ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে আফ্রিকান দেশটি।


বর্ণবাদ, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক সংকট—সবকিছুই আছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে। আছে সোনালী অতীতও। সে অতীতই হয়তো বাঁচিয়ে রেখেছে ২২ গজের লড়াইকে। আর এই লড়াইটাকে নতুন করে জীবন দিলো ইংল্যান্ড সফর। দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষা শেষে বিলেতে খেলবেন রাজা-মুজারিবানিরা।


সামারের ব্যস্ত সূচির আগে এই ১ ম্যাচের সিরিজ কেবলই গা গরম করবে ইংলিশদের। পাঁচ দিনের পরিবর্তে খেলা হবে মাত্র চারদিনের। তবুও ইংল্যান্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক শীতলতা দূরে ঠেলে এই সিরিজ কূটনৈতিক জয় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের। যেখানে ব্যর্থ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।


আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো আরব আমিরাত 


২০১০ সালের পর থেকে ইংল্যান্ড সফরের আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। অথবা অন্যভাবে বললে, কূটনৈতিকভাবে এই সিরিজ আয়োজনে সফল হয়নি বিসিবি। এই সময় ব্যবধানে, গোটা একটা ক্রিকেট প্রজন্ম পার করেছে টাইগার ক্রিকেট। সাকিব-তামিম-মুশফিকরা দ্বিতীয়বারের মতো সিরিজ খেলার সুযোগ পাননি ইংল্যান্ডের মাটিতে। ইংল্যান্ডে বাইল্যাটেরাল সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা নেই লিটন-মিরাজ কিংবা মোস্তাফিজদের মতো ক্রিকেটারদের।


এক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সকে দায়ী করতে পারেন অনেকে। তবে সিরিজ আয়োজনে মাঠের খেলার চেয়ে, বড় ভূমিকা রাখে কূটনীতি। শেষ ১৫ বছরে তিনবার বিসিবি সভাপতি বদল হলেও, ইংল্যান্ড সিরিজ আয়োজনে সফল হননি কেউ।


এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৭ পর্যন্ত ইংল্যান্ড সফরের সুযোগ নেই টাইগারদের। সম্ভাবনা কম আইসিসির পরের চক্রেও। চলতি বছরেই নতুন কমিটি পেতে পারে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন বোর্ডের ওপরেও থাকবে একই প্রত্যাশা। ক্রিকেটের মাঠে কূটনৈতিক ভাবে সফল না হলে, বড় দলের আমন্ত্রণ পাওয়া হবে না বাংলাদেশ দলের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন