জিভ দিয়েই থামিয়ে দিলেন ৫৭টি চলন্ত ফ্যান, নাম উঠল গিনেস বুকে (ভিডিও)

৬ দিন আগে
এক মিনিটে জিভ দিয়ে ৫৭টি ফ্যান থামিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ভারতের তেলেঙ্গানার সূর্যপেটের বাসিন্দা ক্রান্তি কুমার পানিকেরা। তার এই অভাবনীয় কীর্তি নাম তুলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ কুমার পানিকেরার অসাধারণ এই কীর্তির একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সারি দিয়ে দাঁড় করানো অনেকগুলো ফ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ক্রান্তি। এর পরেই জিভ দিয়ে দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকা ফ্যান নিখুঁতভাবে থামিয়ে দিচ্ছেন তিনি। একে একে মোট ৫৭টি।

 

মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ৫৭টি চলন্ত বৈদ্যুতিক পাখা জিভ দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। যা দেখে নেটিজেনদের প্রশ্ন, জিভ না লোহা?

 

আরও পড়ুন: ৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস রেকর্ড বাংলাদেশের সুমাইয়ার

 

সাধারণ মানুষ এই কাজ করলে জিভ কেটে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার কথা। পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, হেলায় সেই কাজ করছেন ক্রান্তি। এক এক করে পাখার ব্লেডগুলোকে নিজের জিভ দিয়ে থামিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

 

জানা গেছে, দীর্ঘ অনুশীলনে ভয়ংকর এই কাজে সক্ষম হয়েছেন তেলেঙ্গানার যুবক। তিনি ‘ড্রিল ম্যান’ হিসেবেই পরিচিত। আগেও ‘বিগ সেলিব্রিটি চ্যালেঞ্জ’, ‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’, ‘জেড ট্যালেন্ট শো’ এবং ‘ইন্ডিয়া কা মস্ত কালান্দার’, এমনকি ‘আমেরিকাস গট ট্যালেন্টে-এর মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাহসী চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন এবং সাফল্যের সঙ্গে তা করেও দেখিয়েছেন।

Most electric fan blades stopped using the tongue in one minute 👅 57 by Kranthi Drillman 🇮🇳 pic.twitter.com/dsH8FULHxW

— Guinness World Records (@GWR) January 2, 2025

ভিডিওটি ২ জানুয়ারি পোস্ট করা হয়েছে। এরপর দ্রুত ভাইরাল হয় ভিডিওটি। ৬০ মিলিয়নের বেশি বার এটি দেখা হয়েছে। এছাড়া এতে অনেক নেটিজেন লাইক ও কমেন্ট করেছেন। অনেক এই ধরনের কাজের বিপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার কেউ কেউ ক্রান্তির প্রশংসাও করেছেন।

 

আরও পড়ুন: একসঙ্গে চা খেলেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ও খাটো নারী

 

গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পানিকেরা ইনস্টাগ্রামে একটি বার্তা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম দেখে অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটি ব্যক্তিগত মাইলফলক নয় বরং বছরের পর বছর ধরে আমি যে কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি তারই একটি স্বীকৃতি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন