পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের উদ্যোগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধার ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের আলোচনা সভা ও নিবন্ধনকৃত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের এ সনদ দেয়া হয়।
আনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের হাতে সনদ তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার আম বাজারজাতের তারিখ ঘোষণা
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। আয়োজনটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ দেয়া হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলা হতে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন পাতক্ষীরকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের সনদ দেয়া হয়।
বহু প্রজন্ম ধরে স্থানীয় কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি এই সুস্বাদু মিষ্টি মুন্সীগঞ্জবাসীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে। দুধ, সামান্য হলুদগুঁড়া ও চিনি দিয়ে প্রস্তুতকৃত পাতক্ষীরের স্বাদ, গন্ধ ও গুণগত বৈশিষ্ট্য একে দেশের অন্যান্য মিষ্টান্ন থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত সনদটি গ্রহণ করে বলেন,
জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এ পণ্যের মান ও স্বাতন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেল, যা স্থানীয় উৎপাদকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। পণ্যের মেধাসম্পদ সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জিআই পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধিতে এ অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: ১১ বছর ধরে ভাত না খাওয়া নিজামকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলো ঢাকায়
আলোচনায় বক্তারা মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও জিআই পণ্যের পঠন-পাঠন ও বাণিজ্যিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উদ্ভাবক বা কারিগরদের যথাযথ সম্মান ও স্বীকৃতি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গবেষক, উদ্যোক্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।