বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বিজিবির মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকা দিয়ে জালটাকা পাচারের যে কোনো চেষ্টা প্রতিরোধে আমরা সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত আছি। বিশেষ করে শেরপুরের পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যেন কোনোভাবে জালটাকা দেশে প্রবেশ করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে জন্য অভিযান, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের অভ্যন্তরেও জাল টাকা তৈরি হয়— এমন ঘটনাও আগে দেখা গেছে। তবে সীমান্তের ওই পার (ভারত) থেকে জালটাকা আসছে কিনা, সেটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে জালটাকা আসছে— এমন কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। তবুও সীমান্ত এলাকাকে আমরা আরও কঠোর নজরদারির আওতায় আনছি।’
তিনি জানান, জাল টাকা কোথা থেকে আসছে, কোন রুট ব্যবহার হচ্ছে এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত—তা উদঘাটনে তদন্ত চলছে। চক্রের দুজনের নাম পাওয়া গেছে, যাদের একজন পূর্বে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে জাল টাকাসহ গ্রেফতার ২
বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তরের অধীনে ময়মনসিংহ ও শেরপুর সীমান্তে জালনোট পাচার প্রতিরোধে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর মাঝে সচেতনতা তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
সীমান্তে বসবাসরত মানুষ যেন দেশের স্বার্থে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে, সে জন্য নিয়মিত জনসভা, সেমিনার ও গণসংযোগ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান আরও যোগ করেন, লেনদেনের সময় সবাই যেন জাল টাকার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেন, সে বিষয়েও আমরা নিয়মিত সচেতন করছি।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় ২৫ জন আসামিসহ ২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাচালান পণ্য, গবাদি পশু, মাদকদ্রব্য ও যানবাহন আটক করেছে।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·