রোববার (২২ জুন) বিকেলে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১ (অতি. দায়িত্ব মহানগর দায়রা জজ) এর বিচারক মার্জিয়া খাতুন শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ (হাজীরহাট আমলি আদালত)-এর বিচারক সোয়েবুর রহমানের আদালতে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে তাদের বক্তব্য শুনে মঙ্গলবার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন বিচারক।
এ সময় আদালত চত্বরে জড়ো হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রেফতারের প্রতিবাদে জানিয়ে মাহমুদুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান। এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দেন।
আরও পড়ুন: বেরোবিতে জুলাই সহিংসতা: ৯ মাস পর ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মাহমুদুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম আল মামুন বলেন, আমরা সকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাহমুদুল হকের জামিনের আবেদন জানাই। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ জুন দিন ধার্য করেন। পরে বিকেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন জানানো হয়।
শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে মামলার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দিয়েছেন বিচারক।
রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত বছরের ২ আগস্ট মুদি দোকানি ছমেস উদ্দিনের (৬৫) মৃত্যুর ১০ মাস পর গত ৩ জুন হাজিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম।
মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ৫৪ নম্বর আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হককে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে নগরীর ধাপ এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেরোবির বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত, নতুন নাম নির্ধারণ
নিহত ছমেস উদ্দিন নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভীপাড়ার এলাকার বাসিন্দা।