জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৩ সপ্তাহ আগে
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) জামালপুর পৌর এলাকার  কাচারিপাড়া একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।   


তার বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানার একটি হাই-প্রোফাইল মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামানকে(৬৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আইনি কাজ শেষে  তাকে পুলিশ প্রহরায়  আদালতে সোপর্দ হয়। আদালত তার জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে মেলান্দহ থানাধীন নয়ানগর ইউনিয়নের ৫নং চর বাজার এলাকায় কামরুজ্জামানসহ ১৩০/১৫০ জন আসামি একটি নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে আক্রমণ করে। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে। তারা বাদীর টয়োটা এলিয়ন গাড়ি ভাঙচুর করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে, ড্রাইভার মো. আয়াতুল্লাহকে মারধর করে এবং নির্বাচনী উপহার সামগ্রী ও ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া, বাদী ও তার সফরসঙ্গীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হয়।

আরও পড়ুন: খুলনায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ ‘মোটা সবুজ’ গ্রেফতার

এছাড়াও কামরুজ্জামান ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং বর্তমানে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনায় মদদ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


আদালতে পাঠানো পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়,কামরুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পলাতক হতে পারেন এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম বাড়তে পারেন, যা মামলার তদন্তে বাধা সৃষ্টি করবে। এ কারণে তাকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান ৫ আগষ্টের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি লাশকতার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গোগন সংবাদের ভিত্তিতে আজ পৌর এলাকার  কাচারিপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। তার নামে তিনটি নাশকতার মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন: মাদারীপুরে হাতকড়াসহ পালানো সেই আসামি গ্রেফতার

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সম্রাট (ওসি) বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামন ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন