জামালপুরে পিপির অপসারণ চেয়ে ৫০ আইন কর্মকর্তার আবেদন

২ সপ্তাহ আগে
জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনিসুজ্জামানের অপসারণ চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন আদালতের ৫০ জন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি)। পিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে এই দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ৩টায় জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন করেন আইনজীবীরা।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) এস এম তৌফিকুল ইসলাম বাদশা।

 

তিনি বলেন, ‘আনিসুজ্জামান পিপি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে পদ অপব্যবহার করে আসছেন। মামলার বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে আপত্তিকর কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আইনজীবী সমাজ অপমানিত বোধ করেছে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৩ নভেম্বর আনিসুজ্জামান পিপি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঘরানার আসামিদের জামিনে সহায়তা, মামলার বিষয়ে থানাগুলোতে প্রভাব খাটানো, সহকর্মীদের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্বে থেকেও তিনি জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষকে কানে কানে পরামর্শ দেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

 

জানা যায়, এসব অভিযোগে পিপি আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ৪ মে আবেদন জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী আইন কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকেও তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: জামালপুরে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিশাদ রেজওয়ানসহ আরও অনেকে।

 

উল্লেখ্য, গত ১ মে বকশীগঞ্জ থানার একটি মামলার বিষয়ে ওসিকে ফোন করে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন পিপি আনিসুজ্জামান। ওই ফোনালাপের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর জরুরি বৈঠকে বসেন আইনজীবীরা।

 

এছাড়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আশিকুর রহমান তুলনের মারধরের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলাও তিনি প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

আনিসুজ্জামান বর্তমানে বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা বার কাউন্সিলের তালিকায় স্থান পাননি, তারাই ষড়যন্ত্র করছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং এ বিষয়ে ডিসি ও এসপির কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন