শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর লিডারশিপ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, পিআর পদ্ধতি (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) জামায়াতে ইসলামী নতুন করে চাইছে না। আমাদের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজম নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দুটি পদ্ধতির কথা বলে গেছেন। এর মধ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যটি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। বিগত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তেমনি সবদলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিও প্রতিষ্ঠিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পৃথিবীতে যতগুলো পদ্ধতি চালু আছে, তার মধ্যে পিআর পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। এর মধ্যে আবার পিআর এর ৬টি প্রক্রিয়া আছে। দেশের রাজনৈতিক ও জনমানুষের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেটি উপযোগী সেটা গ্রহণের জন্য আমরা বলেছি। মূল ধারণা হচ্ছে নির্বাচনে প্রার্থী হবে দল, ব্যক্তি নয়। পাঁচটি দল আছে, জনগণ দলের আদর্শ, চরিত্র, পরিকল্পনা দেখে জনগণ যাকে পছন্দ করবে তারা দলের পক্ষে ভোট দেবে। ব্যক্তি যখন প্রার্থী না হয়ে দলের পক্ষে ভোট চাইবে তখন ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থ বড় হয়। ভোট নেয়ার ব্যাপারে, কালোটাকা, পেশি শক্তি, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে: পরওয়ার
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, বিএনপি যেমন না-তে অনড়, জামায়াতে ইসলামীও হ্যাঁ-তে অনড় আছে। যখন পিআর বাস্তবায়ন হবে না, তখন কি করব তা বলব। আগে বলব কেন? কে অনড় থাকল, আর থাকল না, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরেছি। একটি সময় কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) কেউ মানতে চাননি। বলেছেন, কেউ কী নিরপেক্ষ হয়? শেষ পর্যন্ত কিন্তু তত্ত্বাবধায়কের ব্যাপারে ই ঘোলদুধ খেতে হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনেও জাতি পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে ইনশাল্লাহ।
নড়াইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর লিডারশিপ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মির্জা আশেক এলাহী, জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।