মঙ্গলবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন মানবিকতার নামে এক ভয়াবহ প্রতারণা। এটি মুসলিম দেশগুলোতে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি, ধর্মহীনতা ও ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা চাপিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশের মাটিতে এই কার্যালয় স্থাপন মানে; ইসলামের ওপর প্রকাশ্য আঘাত, জাতীয় আত্মমর্যাদাকে পদদলিত করা এবং দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক শৃঙ্খলাকে চরমভাবে ধ্বংসের অপচেষ্টা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
তিনি আরও বলেন, যখন দেশের মানুষ বছরের পর বছর গুম, খুন, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণ ও বাকস্বাধীনতা হরণের শিকার হয়েছে, তখন জাতিসংঘ নীরব দর্শক ছিল। বিশেষ করে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের রক্তাক্ত গণহত্যায় তাদের লজ্জাজনক নির্লিপ্ততা প্রমাণ করেছে, এই সংস্থা আসলে মানবাধিকারের রক্ষক নয়, বরং পশ্চিমা রাজনৈতিক স্বার্থের সেবক। অথচ আজ, দেশে নতুন রাজনৈতিক জাগরণ ও জনমতের ঢেউ উঠতেই এই তথাকথিত মানবাধিকার কার্যালয় অনুমোদন দিয়ে বাংলাদেশকে আবারও বিদেশি প্রভুদের করায়ত্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, এ জাতি কখনো ইসলামি আদর্শ, জাতীয় চেতনা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে মাথা নত করেনি। অতএব অবিলম্বে এই বিশ্বাসঘাতক অনুমোদন বাতিল করুন, দেশের মাটি থেকে ষড়যন্ত্রের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলুন এবং জাতীয় স্বার্থ, ইসলামি তাহজিব-তামাদ্দুন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর ও স্পষ্ট অবস্থান নিন।
]]>