জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যুতে যা বললেন বিশ্বনেতারা

১ সপ্তাহে আগে
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্ব জাতিসংঘের কাঁধে। তবে ফিলিস্তিন থেকে শুরু করে ইউক্রেন– সবখানে বিরাজ করছে অস্থিরতা। এমন সময়েই জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশের নেতারা।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিশ্বনেতারা। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার অর্থ হামাসকে পুরস্কৃত করা। অন্যদিকে অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের করুণ চিত্র তুলে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। 

 

সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি দুঃখপ্রকাশ করে জানান, সারাবিশ্বে অরাজকতা যেন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। গাজা ও ইউক্রেনের বর্তমান প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই অন্ধকার সময়েও আশার আলো জিইয়ে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রথম বক্তা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নীতির সমালোচনা করে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান। 

 

আরও পড়ুন: ভূখণ্ডই যদি না থাকে, রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কি কাজে আসবে ফিলিস্তিনিদের?

 

এর কিছুক্ষণ পর মঞ্চে ওঠেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি হামাসের জন্য ‘অতিরিক্ত পুরস্কার’ বলে মন্তব্য করেন। একাই বিশ্বের নানা প্রান্তের সাতটি যুদ্ধ বন্ধের দাবিও করেন ট্রাম্প। 

 

এছাড়াও অভিবাসী ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থানের সমালোচনা করতেও ভুলে যাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতারণা’ বলে আখ্যা দেন। 

 

ট্রাম্প বলেন, 

জাতিসংঘ সমস্যার সমাধান তো করছেই না বরং অনেক সময় এটি আমাদের সমাধান করার জন্য নতুন সমস্যা তৈরি করছে। কখনো কখনো পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলার জন্য অর্থায়ন করছে জাতিসংঘ। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ প্রায় ৬ লাখ ২৪ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করার জন্য ৩৭২ মিলিয়ন ডলার নগদ সহায়তা দিয়েছে।

 

এদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভাষণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয় এক অন্যরকম পরিবেশ। হাতে গাজার করুণ অবস্থার একটি ছবি নিয়ে ওঠেন মঞ্চে। ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যায় দায়ীদের আনতে হবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায়। 

 

আরও পড়ুন: গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে নেতানিয়াহুর বিচার চাইলেন চিলির প্রেসিডেন্ট 

 

এরদোয়ান আরও বলেন, 

গাজায় কোনো যুদ্ধ নেই। উপত্যকাটিতে দুই পক্ষ নেই। একপাশে আছে আগ্রাসী সেনাবাহিনী (ইসরাইলি), যারা আধুনিক ও প্রাণঘাতী অস্ত্রে সজ্জিত; আর অন্য পাশে রয়েছে অসহায় সাধারণ মানুষ, নিরীহ শিশু। এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নয়, এটি বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ। 

 

আর, গেল মাসে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের ওপর ইসরাইলি হামলা গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বাধা সৃষ্টির চেষ্টা বলে অধিবেশনে অভিযোগ করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন