জাতিসংঘ দফতরের শৌচাগারে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ

৪ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের শৌচাগারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তাকে হেনস্থা করার অভিযোগে এরই মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় জাতিসংঘের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হোয়াইট হাউস। শুধু তা-ই নয়, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন এক জন ‘উন্মাদ বামপন্থি’।

 

ফক্স নিউজের প্রতিবেদন মতে, ওই কর্মকর্তা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের সময় গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 

 

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সচিব অ্যানা কেলি বলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মকর্তাকে জাতিসংঘ দফতরের শৌচাগারে মারধর করা হয়েছে। এটা ঘটিয়েছে একজন উন্মাদ বামপন্থি। ওই ব্যক্তি কোনোভাবে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন।’ তবে আটক সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ‘অনৈতিক সামরিক হুমকি’ নিয়ে সতর্কবার্তা ভেনেজুয়েলার

 

এর আগে জাতিসংঘে নিজের সাথে তিনটি নাশকতার ঘটনা হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বে ভাষণ দিতে জাতিসংঘ সদর দফতরে যান তিনি।

 

পরদিন বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে একের পর এক মর্যাদা হানিকর ঘটনা ঘটেছে। একটি-দু’টি নয়, তিনটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।’ 

 

তিনটি ‘অশুভ ঘটনা’র কথা উল্লেখ করের তিনি। প্রথমেই এসক্যালেটর তথা চলমান সিঁড়িতে বিভ্রাটের প্রসঙ্গটি তোলেন করেন। তিনি জানান, অল্পের জন্য তিনি ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প রক্ষা পেয়েছেন। না-হলে ধাতব সিঁড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়তেন তারা।

 

যে চলমান সিঁড়ি দিয়ে ট্রাম্প ও মেলানিয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল কক্ষে যাচ্ছিলেন, সেটি হঠাৎই আটকে যায়। হাতল ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন দুইজনে। ট্রাম্প ঘটনাটিকে ‘পুরোপুরি নাশকতা’ বলে দাবি করে এর তদন্ত দাবি করেন।

 

আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ নিয়ে আশার বাণী শোনালেন ট্রাম্প

 

চলমান সিঁড়ির পর পোডিয়ামে টেলিপ্রম্পটার ‘কাজ করছে না’ বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। তার দাবি, সভায় ভাষণের শুরুতেই তার টেলিপ্রম্পটারটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এরপরই ট্রাম্প হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘যিনি এই টেলিপ্রম্পটারটি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তিনি বড় বিপদে পড়বেন।’

 

সবশেষে ট্রাম্প কাঠগড়ায় দাঁড় করান, জাতিসংঘের সাধারণ সভার ‘সাউন্ড সিস্টেম’কে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, তার বক্তৃতা শুনতে বেগ পেতে হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন