মধ্য শ্রাবণেও পানি আসেনি মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বিলে। এতে পাট নিয়ে বিপাকে কৃষক। পরিপক্ব পাট অনেকে কেটে জমিতেই রেখে দিচ্ছেন। চাষিরা বলেন, হাতে গোনা দুই একটি পুকুরে জাগ দেয়া গেলেও বেশিরভাগ পাট ফেলে রাখা হচ্ছে। পানির অভাবে আঁশ ছাড়ানো যাচ্ছে না।
কোথাও কোথাও টাকার বিনিময়ে পাট জাগ দেয়া গেলেও খরচ বেশি বলে অভিযোগ চাষিদের। তারা বলেন, প্রতিবার জাগ দিতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। বানের পানি না আসলে চলতি বছর ফলন বিপর্যয় হতে পারে। বেশিরভাগ চাষির পাট জমিতে শুকিয়ে মারা যাবে।
আরও পড়ুন: পানির অভাবে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে পাট, বিপাকে কুড়িগ্রামের চাষিরা
পাটচাষি মোজাহার শেখ বলেন, ‘পাট পরিপক্ব হয়ে মরে যাচ্ছে। পানি না থাকায় জাগ দেয়ার উপায় নেই। তাই জমিতেই পাট কেটে রেখে দিয়েছি।’
পাটের ভালো ফলন পেতে রিবন পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ কৃষি বিভাগের। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, ধীরে ধীরে মানিকগঞ্জ জেলায় পাটের আবাদ কমে আসছে। এর প্রধান কারণ পানির সংকট। তাই চাষিদের রিবন পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে তারা স্বল্প সময়ে ও খরচে পাট জাগ দিতে পারবে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৪ হাজার ২৭৬ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আর, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন।
]]>