প্রথমে ব্যাট করে সৌম্য-মাহফিজুলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২০৩ রান করে সবুজ দল। জবাবে মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় লাল দল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পায় জাকের আলী অনিকের সবুজ দল। নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্যর ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় তারা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪০ রান। ২১ রান করে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে সবুজ দলের পারফরমেন্স আরও ভালো। এই পার্টনারশিপ থেকে আসে ৮২ রান।
এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়ার ঝাল এদিন সৌম্য মিটিয়েছেন চার-ছক্কার বন্যায়। তার ব্যাটিং দেখে ভিআইপি বক্সে বসে হয়তো আফসোসেই পুড়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। যেখানে চার-ছক্কার মার ছিলো পাঁচটি।
আরও পড়ুন: সর্বনিম্ন ১৫০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ
এর আগে ২৭ বলে ৪৪ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন মাহফিজুল। তার ব্যাটিং-এ ছিলো জাতীয় দল ঢোকার আগমনী বার্তা। চার নম্বরে এসে পিয়াল ব্যর্থ হলেও ক্যাপ্টেন্স নক করেছেন জাকের আলী অনিক। ২৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৩৫ রান। এছাড়াও, মেহেদি করেন ১৭ রান। ২০ ওভার শেষে ২০৩ রানের বিশাল টার্গেট লাল দলকে ছুড়ে দেয় সুবজ দল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লাল দল। বড় স্কোর না করেই ভাঙ্গে তাদের উদ্বোধনী জুটি। তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমনদের কেউই পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে আসা লিটন দাস ৩৩ রানের ইনিংস খেললেও তা ছিলো না টি-টোয়েন্টি সুলভ।
লাল দলের হয়ে এদিন একমাত্র আলো ছড়িয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। তার ব্যাট থেকে এসেছে ফিফটি। তবে বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। লোয়ার অর্ডাররা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। এমনকি ডাবল ডিজিটের রান আসেনি তাদের ব্যাট থেকে। ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় জাতীয় দলের ছায়া হিসেবে খেলা লিটন দাসের লাল দল। ৬৮ রানের বড় জয় নিশ্চিত করে সবুজ দল।