জলিবি আংশিক হালাল। জলিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন দেশের শাখাগুলোতে হালাল সনদ নিয়ে ভিন্নতা দেখা যায়।
মুসলিম-প্রধান দেশগুলো, যেমন মালয়েশিয়া, নিশ্চিত করেছে যে তাদের জলিবি শাখাগুলো স্থানীয় ধর্মীয় সংস্থার কাছ থেকে হালাল সনদ পেয়েছে। যুক্তরাজ্যের কিছু নির্দিষ্ট শাখায় শুধুমাত্র ইসলামিক সংস্থা অনুমোদিত হালাল মাংস ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে, জলিবির কিছু শাখা নিশ্চিত করতে পারে না যে তাদের পণ্যগুলো হালাল নাকি হালাল না। এ অনিশ্চয়তার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান হলো মাংস ও উপকরণের সরবরাহ ব্যবস্থা এবং প্রস্তুত প্রণালীর পার্থক্য।
আরও পড়ুন: বাসর রাতে নফল নামাজ পড়ার বিধান
জলিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশদ জানতে অফিসিয়াল সূত্র ও সংশ্লিষ্ট লিঙ্কে প্রবেশ করা যেতে পারে। মুসলিমদের জন্য নিরাপদ কিনা? মুসলিমরা শুধুমাত্র সেই শাখাগুলোতে খেতে পারবেন যেগুলো হালাল সনদপ্রাপ্ত।
উদাহরণস্বরূপ, মালয়েশিয়া বা যুক্তরাজ্যের নির্দিষ্ট শাখা। যেকোনো জলিবি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার আগে নিশ্চিত করুন যে মেনু বা রেস্তোরাঁটি হালাল কি না।
জলিবি বিশ্বজুড়ে হালাল ও নন-হালাল উভয় ধরনের মেনু পরিবেশন করে। তাই, ভোক্তাদের উচিত রেস্তোরাঁর কর্মীদের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যে তারা যে মেনু অর্ডার করতে যাচ্ছেন তা হালাল কি না। এতে মুসলিমদের খাদ্য গ্রহণে নিশ্চিততা ও আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। হালাল খাবার না খেলে ইবাদত কবুল হয় না। তাই মুসলিমদের জন্য হালাল খাবার গ্রহণ করা জরুরি।
বাংলাদেশে জলিবির মতো যে-সব প্রতিষ্ঠান আছে, যেমন কেএফসি, সিফাইভ, টেস্টিট্রিট ইত্যাদি ফাস্টফুড থেকে খাবার খেতেও আমাদের জিজ্ঞেস করে নেয়া ভালো যে, তাদের সার্ভ করা খাবার হালাল। তারা আল্লাহর নাম নিয়ে মুরগি বা পশু জবাই করে কী না। এসব জিজ্ঞেস করে নেয়া একজন মুসলিমের কর্তব্য।
]]>