আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, আজ বুধবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবতরণ করেন কাতারি আমির। সেখানে বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, যুবরাজ হুসেইন আবদুল্লাহ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। দোহায় ইসরাইলি হামলার পর এটা কাতারের আমিরের প্রথম জর্ডান সফর।
হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যার লক্ষ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহার একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হামলায় হামাসের নেতারা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও অন্তত ছয়জন নিহত হন। কাতারের আমির ইসরাইলি হামলাকে ‘নির্লজ্জ, বিশ্বাসঘাতক ও কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করেন।
এ ঘটনায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে নিন্দার ঝড় ওঠে। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর একটি জরুরি সম্মেলন ডাকে কাতার যা গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হয়। আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি সদস্যদেশ অংশ নেয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কাতারের প্রতি সংহতি এবং গত সপ্তাহে দোহায় ইসরায়েলি বোমা হামলার নিন্দা জানায়। আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা বলেন, ইসরাইলের নজিরবিহীন আগ্রাসনের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা দেয়ার জন্য এ বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
সম্মেলনে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ‘একটি যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার’ প্রতিশ্রুতি দেয়, যাকে ওই বৈঠকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
কাতারি আমিরের জর্ডান সফরের গুরুত্ব নিয়ে আল জাজিরা বলেছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সফর হতে চলেছে। কারণ দোহায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইলের হামলার পর এটিই কাতারি আমিরের প্রথম সফর। আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা।
আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, কাতারের আমির এবং জর্ডানের বাদশাহর বৈঠকে সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করা এবং সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়েও আলোচনা করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বোমা হামলা / গাজার আল-আয়বাকি মসজিদ ধ্বংস করে দিলো ইসরাইল (ভিডিও)
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, দোহায় হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়েছে। এর জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে।
পাশাপাশি গাজা সিটিতে ইসরাইলের হামলা জোরদারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটা ‘ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার যুদ্ধের সম্প্রসারণ’।
]]>