জর্ডান-লেবানন থেকে দেশে ফিরছেন সিরিয়ানরা

৩ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর প্রতিবেশী লেবানন ও জর্ডানে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ানরা তাদের নিজ দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) আসাদের পতনের কয়েক ঘণ্টা পরই জর্ডান ও লেবানন সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ানদের প্রবেশ করতে দেখা যায়।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন ও সিরিয়ার সীমান্তের মাসনা ক্রসিংয়ে কয়েক ডজন গাড়ি সারিবদ্ধভাবে রাখা আছে। যানবাহনগুলো দিয়ে আসাদ বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে সিরিয়ায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

 

জর্ডানের জাবের ক্রসিংয়ে একজন সিরিয়শরণার্থী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে জর্ডানে ছিলাম। বাশার আল-আসাদের পতনের খবর শোনার পর আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। এখন আমরা নিরাপদে আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারি।’

 

আরও পড়ুন: ১৩ বছর আগের সেই গ্রাফিতি যেভাবে পতন ঘটালো আসাদের

 

এদিকে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার স্বৈরশ্বাসক বাশার আল-আসাদ। রাজনৈতিক আশ্রয়ে পরিবারের সদস্যরাসহ তিনি মস্কোয় অবস্থান করছেন।

 

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা তাস ও রিয়া নভস্তির বরাত দিয়ে রয়টার্সের বলা হয়েছে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা মস্কোয় পৌঁছেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে রাশিয়া তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কী বললেন ট্রুডো?

 

এর আগে রোববার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে করে পালিয়ে যান তিনি।

 

উল্লেখ্য, আসাদ তার বাবা হাফেজ আল আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে ক্ষমতায় বসেন। তার বাবাও ২৯ বছর ধরে সিরিয়া শাসন করেছেন। তিনিও অনেকটা তার ছেলে বাশার আল-আসাদের মতোই। দমনপীড়ন চালিয়ে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন