সিটিতে দুই বছরের মতো খেলেছিলেন স্ট্রাইকার কাভেলাশভিলি। ১৯৯৭ সালে গ্রাসহোপার্সে ধারে যাওয়ার আগে সিটির হয়ে লিগে ২৮টি ম্যাচ খেলেন, করেন ৩ গোল। এরপর ২০০৬ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার আগে আরও একাধিক ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। জর্জিয়ার হয়ে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ৪৬ ম্যাচ, গোল ৯টি।
আরও পড়ুন: ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র শেষে কে কোন গ্রুপে
৫৩ বছর বয়সি কাভেলাশভিলি হচ্ছেন জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি জর্জিয়া ড্রিম পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এবং রাশিয়াপন্থী। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে দেশটির চারটি প্রধান দল। তাদের অভিযোগ, অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল।
কাভেলাশভিলির নিয়োগের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশের বড় একটা অংশের মানুষ। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বির্তর্কিত অক্টোবর নির্বাচনের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, প্রতি রাতেই লোক জমায়েত হচ্ছে সংসদের সামনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার পরেও দুশ্চিন্তায় সৌদি আরব
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সালোম জোরাবিচভিলিও কাভেলাশভিলির নিয়োগের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ইউরোপপন্থী। তার দাবি, এতদিন তিনিই জর্জিয়ার টিকে থাকা বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো হাল ধরে রেখেছেন। ২৯ ডিসেম্বর শেষ হবে তার দায়িত্বের মেয়াদ। ইরাকলির অভিযোগ, সালোম জর্জিয়ার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন।
জর্জিয়া ড্রিম পার্টির সদস্য নিনো তিসিলোসানি বলেছেন, জনগণের চোখে জোরাবিচভিলি আর জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট নন।