ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল দুই বন্দুকধারীকে গ্রেফতারের পরই সালমানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ হাজির হন শিন্ডে। তারপরই সালমাানের সাথে দীর্ঘ সময় আলাপ করেন।
বৈঠকের পর সালমানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
প্রকাশ্যে একজন সেলিব্রেটিকে হত্যার হুমকি দেয়াকে মোটেও হালকা হিসেবে নেয়নি মুম্বাই পুলিশ। আমি এরইমধ্যে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছি। সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেবেন তারা।
শিন্ডে আরও বলেন, সালমান শুধু নিজ দেশেই পরিচিত নন, ভারতের বাইরেও তিনি জনপ্রিয়। তবে সে বিষয়টি না এনেও যদি একজন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তাকে বিবেচনা করি সেক্ষেত্রেও তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এরপরই শিন্ডে বলেন, সবদিক বিবেচনা করে সালমানের হত্যার হুমকির ইস্যুতে মুম্বাই পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে সালমানের এমন বিপদের দিনে তার ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ হাজির হতে শুরু করেছেন ভাইবোন ও আত্মীয়স্বজনরা। তারা কিছুতেই সালমানকে একা রাখতে চান না।
এ প্রসঙ্গে সালমানের ভাই আরবাজ খান বলেন,
১৪ এপ্রিল থেকে ঘর থেকে বের হয়নি সালমান। এখনও ঘরবন্দি আছে। মুম্বাই পুলিশের উপর ভরসা থাকায় এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি। এ কারণে অনেক নিন্দুকই বিষয়টিকে মজার চোখে দেখছেন। অনেকে আবার বিষয়টিকে ‘সস্তা প্রচার’ আখ্যা দিতে চাইছেন, যা আসলেই বিরক্তিকর।
আরও পড়ুন: সালমানের বাড়িতে গুলি ছোড়ার পর আবারও হত্যার হুমকি!
আরবাজ আরও বলেন, বিপদের সময়েই আসল বন্ধু চেনার সুযোগ হয়। এ দুর্দিনে সালমানের পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন এবং সালমান ভক্তদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দোয়া চাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নিজের চেহারা বদলে ফেললেন রাজকুমার!
প্রসঙ্গত, বোরবার ( ১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টা নাগাদ দুই অজ্ঞাত বন্দুকধারী সালমানের বাড়ির সামনে পৌঁছান। এরপর তারা বন্দুক তাক করেন সালমানের বাড়ির দিকে। কাউকে নিশানা করে নয়, বরং শূন্যে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান তারা। এরপরই লাগাতার প্রকাশ্যে সালমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছেন ভারতের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী।
]]>