জরুরি অবস্থাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

৪ সপ্তাহ আগে
জরুরি অবস্থা সংশোধন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জরুরি অবস্থা যেন ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১০ম দিনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

 

আজকের আলোচ্য সূচিতে ছিল উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নারী প্রতিনিধিত্ব।

 

উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত করার ক্ষেত্রেও একমত তবে কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজনৈতিক দল এ কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, চৌকি আদালত বহাল রেখে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো করতে হবে এবং জেলা শহরের পাশে উপজেলায় আদালত করার দরকার নেই।

 

ড. রীয়াজ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আবারও আলোচনা হবে। এদিন নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি।

 

তিনি বলেন, আজকের আলোচনা সফল হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানাই তারা দলীয় কার্যক্রমের বাইরে সময় দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: ড. আলী রীয়াজ

 

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি। তবে উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অধস্তন আদালত গঠন করার ক্ষেত্রে একমত এবং চৌকিগুলো স্থায়ী আদালত করা হবে।

 

জামায়াতের এ নেতা বলেন, আজকের আলোচনায়-১৪১ এর ক, খ ও গ তে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, বহিঃশত্রু আক্রমণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ আছে। তবে ৫ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। এটির যেন আর অপব্যবহার না হয় সেটার বিষয় কথা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভায় লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে। এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জামায়াত। সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে করাতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থায় যেন স্বাভাবিক গতিধারা ব্যাহত না হয়, সেটার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. আইয়ুব মিয়া।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন