জমির বিরোধে শ্যালকের হাতে প্রাণ গেল দুলাভাইয়ের

২ সপ্তাহ আগে
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে শ্যালকের হাতে প্রাণ গেল আনসারুল হক (৬০) নামে দুলাভাইয়ের।

বৃহস্পতিবার (১৯) ডিসেম্বর সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের মমিনটলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনসারুল হক ওই গ্রামের মৃত নিয়াসুর ছেলে। অভিযুক্ত চাচাতো শ্যালকের নামও আনছার আলী। তিনি একই গ্রামের ইসমত উদ্দীনের ছেলে।


এ ঘটনার পর শ্যালকের  ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার।

আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ছে হত্যাকাণ্ড, হুমকিতে নিহতের পরিবার


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১ বছর ধরে ৮ শতক জমি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার এ বিষয়ে মীমাংসা করলেও সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বিরোধ চলা জমিতে হালচাষের পর ভুট্টা রোপণ করার চেষ্টা করছিল দুলাভাই আনসার আলী, তার ছেলে এনামুল হক ও তার স্ত্রী সেকিধন। এ সময় তাদের বাধা দেন শ্যালক আনছার আলী, তার ভাই নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন। দুপক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হলে শ্যালকের লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুলাভাই। স্থানীয়রা দুলাভাই আনসারুল হককে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


নিহতের ছেলে এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ শুরু পর থেকেই বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো। সকালবেলা ভুট্টা লাগানোর সময় কেউ বাধা দিতে যায়নি। দুপুরে হটাৎ করেই লাঠি সোটা নিয়ে মামা ও তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। বাবাকে লাঠি দিয়ে হত্যা করেছে মামা আনছার আলী। বাবাকে হত্যার বিচার চান তিনি।

আরও পড়ুন: খুলনায় গুলিতে যুবক নিহত


আমজানখোর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আইয়ুব আলী বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচাতো শ্যালকের লাঠির আঘাতে দুলাভাই মারা গেছেন। আমরা এটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে বাংলাদেশে।’


বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী জানান, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামে যুবককে স্থানীয়রা ধরে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে। নিহতের পরিবার এজাহার দিলে যদি ওই এজাহারে আটক নজরুল ইসলামের নাম থাকে তাহলে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন