মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া মৌজায় আড়পাড়া গ্রামের মরহুম জামাত আলী তরফদারের ওয়ারিশ ফজলুল রহমানের কাছ থেকে ২০১৫ সালে ১২৯ শতক জমি কেনেন তিনি। যার মধ্যে আরএস ১ হাজার ২৪৮ দাগে ৪৭ শতক ও ১ হাজার ২৪৯ দাগের ৭২ শতক জমি রয়েছে। ফজলুর রহমান জমির চৌহদ্দি নির্ধারণ করে জমি বুঝে দেন।
এর আগে একই দাগ থেকে ৩৩ শতক জমি অবৈধ পন্থায় রেকর্ড করে নেন আড়পাড়া শাহাপুর গ্রামের আব্দুস জব্বারের ছেলে শহিদুল ইসলাম। এখন তিনি জমির সম্মুখভাগ দখল করে বেড়া দিয়ে দিয়েছেন। জমি দখলে গেলে শহিদুল ইসলাম তাতে বাধা দেন।
ইমরান হোসেন আরও অভিযোগ করেন, তার কেনা জমির দলিলে চৌহদ্দিতে উত্তর পাশে সরকারি রাস্তা, দক্ষিণে ডিটু গং, পূর্বে ওয়াহিদুল ইসলাম গং ও পশ্চিমে সিরাজুল ইসলাম গং উল্লেখ আছে। চৌহদ্দি অনুযায়ী এ জমি কোনোভাবে শহিদুল ইসলাম তাকে দখল করতে দিচ্ছেন না। যে কারণে নিরুপায় হয়ে ২০২৪ সালের ২৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দেন। ইউনিয়ন পরিষদ নোটিশের মাধ্যমে শহিদুল ইসলামকে শালিসে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করলে তিনি নির্ধারিত দিনে যাননি।
আরও পড়ুন: পণ্যের ওপর বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি যশোরের ব্যবসায়ীদের
তিনি জানান, শহিদুল ইসলামের ছেলে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় নানাভাবে তিনি দাপট দেখিয়ে হয়রানি করছেন। এরই মধ্যে শহিদুল ইসলাম জমি নিয়ে যেন আর কোনো বাড়াবাড়ি না করা হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে খুন-জখমের হুমকিও দিয়েছেন।
সবশেষ শহিদুল ইসলাম ২৯ ডিসেম্বর যশোর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কাছে ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগে তিনি এ দুই দাগের ১২৯ শতক জমি বাদে বাকি জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
প্রকৃতপক্ষে শহিদুল ইসলামও এ জমির রেকর্ড সূত্রে মালিক। সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে শুনানি হলেও প্রশাসন কোনো সুরাহা করতে পারেননি। শহিদুল ইমলাম ক্ষমতার জোরে ইমরান হোসেনের জমি দখল করে আছেন। ফলে এ জমি উদ্ধারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
]]>