শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খেলা শেষ হয়।
এর আগে বাঁশ আর বালির তৈরি মঞ্চে চলে শক্তির লড়াই বা বলী খেলা। দীর্ঘ ৩০ মিনিটের তুমুল লড়াই। নানা কসরত আর কৌশলে রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলি। ঘোষণার পর হাত উচিয়ে শক্তির জানান দেন তিনি।
পরে চ্যাম্পিয়নের হাতে ট্রফি তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রাণ এ বলী খেলা। এই বলী খেলা আমাদের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছে। তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা চট্টগ্রামবাসী এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন: ডিসি সাহেবের বলী খেলার ৬৮তম আসরে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন শরিফ-নুর
চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ এ খেলা। নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠে এবারের ১১৬তম আসরে অংশ নেন ৯০ জনের বেশি বলী। ডাক ঢোল আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে উল্লাসে মাতেন নগরবাসী।
বাশখালী থেকে আশা আবদুল হামিদ জানান, এই খেলা দেখতে আমরা প্রতিবছর আসি। আমরা মন ভরে খেলা দেখি।
আরও পড়ুন: জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল
বলী খেলাকে ঘিরে লালদিঘীর আশেপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসেছে বৈশাখী মেলা। মূলত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও শারীরিকভাবে তৈরি করতে ১৯০৯ সাল থেকে আয়োজিত হয় এ বলী খেলা। যেটির প্রচলন করেছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর।
]]>