প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধি করার কৌশল হিসেবে দেশটির সম্পদ জব্দ করে ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তাতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২১৩ বিলিয়ন ডলার) রয়েছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক ক্লিয়ারিং হাউস ইউরোক্লিয়ার–এর নিয়ন্ত্রণে।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা ইতিমধ্যে এসব তহবিল থেকে অর্জিত রাজস্ব ব্যবহার করছে কিয়েভকে সহায়তার জন্য। সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশন একটি পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছে যার আওতায় জব্দ অর্থের মধ্যে ২৭০ বিলিয়ন ডলারের মতো ইউক্রেনকে ‘ঋণ’ হিসেবে দেয়া হবে।
এই ঋণের জামানত হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাশিয়া যদি ভবিষ্যতে অর্থ পরিশোধ করে, তবেই ইউক্রেন ওই ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকবে— ফলে কার্যত এটি রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্তের সমতুল্য হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের আবাসিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে রুশ হামলায় নিহত ১০
প্রস্তাবটির পক্ষে আছে জার্মানি, ফ্রান্স ও পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ। তবে বেলজিয়াম শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বার্ট দে ওয়েভার বলছেন— এই উদ্যোগ থেকে সৃষ্ট দায় সব সদস্য রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে, শুধু বেলজিয়ামের নয়।
পরিকল্পনার সমর্থকরা দাবি করছেন, এটা সরাসরি জব্দ নয় বরং একটি সাময়িক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করবে।
তবে মস্কো এমন উদ্যোগকে ‘চুরি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হারানোর গুঞ্জন নিয়ে কী বলছে ক্রেমলিন?
অন্যদিকে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দসহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন— রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত বা বন্ধক রাখার এই পদক্ষেপ ইউরোপীয় আর্থিক ব্যবস্থার প্রতি বৈশ্বিক আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·