মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর বনানীতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) বলে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে মগবাজারের বিশাল সেন্টার ঘিরে সুব্রত বাইন গড়েছিলেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি হত্যাসহ নিজের অপরাধের জগৎ, অন্যদিকে মোল্লা মাসুদ মতিঝিল ও গোপীবাগ এলাকায় ছিলেন ত্রাসের অপর নাম।
২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রকাশিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামের তালিকায়ও ছিল এ দুজনের নাম।
এরপর রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি হলেও দুজনই ছিলেন অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। উপায়ান্তর না দেখে তাদের ধরতে পুরস্কারও ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে লাভ হয়নি কিছুতেই।
আরও পড়ুন: সুব্রত বাইন কে, যেভাবে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে উঠলেন
অবশেষে মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে কুষ্টিয়া এবং রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী। সঙ্গে আটক করা হয় তাদের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকেও।
বিকেলে এ-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনগণের জানমালের রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় আইএসপিআর।