বুধবার (২৫ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান।
আখতার বলেন, ‘বাহাত্তরের মূলনীতি মুজিববাদী। এই প্রজন্মের সঙ্গে ওই মূলনীতির সম্পর্ক নেই। সংস্কার বাস্তবায়ন না করা গেলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হবে।’
বিএনপি বা যারা সাংবিধানিক কাউন্সিল নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, জনগণের চাওয়া মাথায় রেখে তাদের একমত হওয়ার আহ্বান জানান এনসিপির সদস্য সচিব।
এ সময় বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের সঙ্গে আওয়ামী লীগকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। বিদ্যমান সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে কমিশনের প্রস্তাবিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের মেয়াদে বিএনপি একমত, তবে...
এদিকে, আশঙ্কা প্রকাশ করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এত সুন্দর পরিবেশ আসার পরও ঐকমত্য পৌঁছাতে না পারলে বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান হতে পারে। সেটি বিপ্লবেও পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
দুদিন মুলতবির পর বুধবার শুরু হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ষষ্ঠ দিনের বৈঠক। আলোচনা হয় রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, এনসিসি এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে। বৈঠকে যোগ দেয় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
বৈঠকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নাম ও কাঠামো পরিবর্তনে সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির প্রস্তাব দেয় কমিশন। যদিও তাতে একমত হয়নি বিএনপিসহ কয়েকটি দল। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি প্রসঙ্গেও মুখোমুখি দলগুলো।
বিবাদমান ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলের মতামত পর্যালোচনা করে আগামী সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশের কথা জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
প্রসঙ্গ: সংস্কার বাস্তবায়নে জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৪৫টি অধিবেশন শেষে চলতি মাসের ২ তারিখে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন।
]]>