ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন শেষ করাই একমাত্র লক্ষ্য: সুশীলা কার্কি

২১ ঘন্টা আগে
নেপালে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন শেষ করাই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। দায়িত্ব নেয়ার পর বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সাবেক এই বিচারপতি।

দুর্নীতি, বেকারত্ব ও ধনীদের বিলাসিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজপথে নামেন নেপালের জেন-জিরা। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর জেন-জি প্রজন্মের তরুণদের পছন্দে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।

 

গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী শপথ নেন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানান, ২০২৬ সালের ৫ মার্চ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনই এখন তার একমাত্র লক্ষ্য। 

 

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ করে পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত সক্রিয় করা ও পুরনো ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তবে শুধু নির্বাচন নয় রাস্তায় নেমে আসা তরুণদের শান্ত করাকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি, ফের বিক্ষোভ

 

এ নিয়ে কার্কি জানান, আন্দোলন চলাকালীন হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার তদন্ত হবে। পাশাপাশি আগের সরকারের দুর্নীতিরও হিসাবও নেয়া হবে। তার দাবি, নেপালের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক কাঠামোকে রক্ষার দায়িত্ব এখন এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে।

 

নেপালের সরকারবিরোধী জেন-জি আন্দোলনকালে নিরাপত্তা বাহিনীর ‍হাতে ৭০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও কয়েকশ’। এই জেন-জিদের প্রতিনিধি হিসেবেই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন বলে জানান সুশীলা কার্কি।

 

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে জেন-জি প্রজন্মের চিন্তাভাবনা অনুসারে কাজ করতে হবে। এই গোষ্ঠীটি যা দাবি করছে তা হলো দুর্নীতির অবসান, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমতা।’ দুর্নীতি ও সহিংসতায় বিপর্যস্ত দেশকে স্থিতিশীল করতে দিনরাত কাজের অঙ্গীকার করে কার্কি বলেন, ‘প্রয়োজনে দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতেও প্রস্তুত।’

 

আরও পড়ুন: প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল পেল নেপাল

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন