মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এ অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৩টি দোকানপাট, বসতঘরসহ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসান তাহসিন। অভিযানে অংশ নেন ৩০ ইস্ট বেঙ্গলের সদস্যরা এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। জানা গেছে, ছাত্রদের ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন পর প্রশাসনের এমন উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কারমাইকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসান তাহসিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কলেজের সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছি। এ ধারা চলমান থাকবে।’
আরও পড়ুন: আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
এ বিষয়ে ৩০ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, ‘জনস্বার্থে, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের এ সমন্বিত অভিযান। ভবিষ্যতেও যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।’
অভিযান চলাকালে শিক্ষার্থীদের অনেকেই কলেজ গেটের সামনে জড়ো হয়ে উচ্ছেদের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধ দখল উচ্ছেদ আমাদের ৩৭ দফা দাবির একটি। আমরা নিজেদের জন্য কোনো আন্দোলন-লড়াই করেনি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, শিক্ষার স্বার্থে আন্দোলন করেছি।’
এ বিষয়ে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কলেজের বিভিন্ন প্লটসহ প্রায় ৪ একর জমি এখনো অবৈধ দখলে রয়েছে। দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পর্যায়ক্রমে সব স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হবে।