গত ২৩ জুলাই রাতে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন এক আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়।
তবে মামলা রেকর্ড হওয়ার আগেই রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব এমদাদুল হক লিমনের কাছে এজাহারের কপি পাঠান এসআই রকিবুল। তাদের মধ্যে মামলার বিষয়ে একটি ফোনালাপ হয়, যার ভিডিও ধারণ করে রাখেন লিমন। ওই ভিডিওতে লিমন জিজ্ঞেস করেন, ‘মামলা কি রেকর্ড হচ্ছে?’ উত্তরে এসআই রকিবুল বলেন, ‘কমিশনার অফিস থেকে মামলা রেকর্ড করে থানায় পাঠানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর তা এজাহার আকারে লিপিবদ্ধ হবে।’
এ বিষয়ে এসআই রকিবুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে
অন্যদিকে ছাত্রদল নেতা লিমন বলেন, ‘আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর মূলত একজন প্রতারক। তিনি এক ফ্ল্যাট একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের এক নেতার আত্মীয়র কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে দিলেও ফ্ল্যাট দেননি। এ নিয়ে কথা বললে তিনি উল্টো আমাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তারা আমাকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি ও মারধর করেছে। তাই আমি মামলা করেছি।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>