সরেজমিনে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কারো হাত কাটা পড়েছে, কারও কাটা পড়েছে পা। স্প্লিন্টারের আঘাতে কারও নিভে গেছে চোখের আলো। গায়ে গুলির ক্ষত নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন অনেকে।
এমনই একজন সাফাইয়েত ইসলাম অনাবিল স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশরক্ষায় যোগ দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে। নতুন বাংলার স্বপ্নপূরণ হলেও স্বৈরাচারীর বুলেটের ক্ষত এখন তার গোটা শরীরে। টানাটানির সংসারে করাতে পারছেন না চিকিৎসা; তাই অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেই কাটছে প্রতিটি মুহূর্ত।
তিনি বলেন, ‘প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছি। কিন্তু ভালো চিকিৎসা পাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের তালিকা প্রকাশ: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ৮৫৮ জন
আন্দোলনে গুলিতে আহত আকিব মাতুব্বরও ভালো নেই। তিন তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে; কিন্তু এখনো নিভুনিভু চোখের আলো। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শংকায় এই শিক্ষার্থী।
আকিব বলেন,
৩টি অস্ত্রোপচারে আমার চোখ ভালো হয়েছে। কিন্তু আমার চোখ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই পুরোপুরি দেখতে পারবো না। আর এই চিকিৎসা সারাজীবন করা লাগবে। সরকার থেকে আর্থিক কোনো সহযোগিতা পাইনি।
আহতদের সরকারিভাবে সহযোগিতা ও নিহতদের শহীদের স্বীকৃতি দাবি পরিবারের। দেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচার সরকারকে দেখতে চান না তারা।
জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি ছাত্র-জনতার
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন,
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। পরবর্তীকালে সরকারিভাবে যেসব অনুদান পাবো, সেগুলো দিয়ে তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে মাদারীপুরের ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় আলাদা তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে।
]]>