ছাগলে খেল গাছ, ঘটলো মারামারি, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুর

৪ দিন আগে
ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বিরোধ গড়ায় মারামারি, ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায়।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে দিনব্যাপী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় গড়াইপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গড়াইপাড়া এলাকার মো. শরিফুল ইসলাম মন্টু ও সাদিকুল ইসলাম সাধুর মধ্যে আগে থেকে পূর্বশত্রুতা ছিল। কিছুদিন আগে ছাগলে পটোলগাছ খাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

 

শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায়ও তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মন্টু ও তার ছেলেরা মিলে সাধু ও তার বাবা মতিউর রহমান গুধাকে মারধর করেন। এতে চার জন আহত হন।

 

শনিবার (১৪ জুন) ভোরে সাধুর পক্ষে ওমর আলীর অনুসারী আলম, ফটিক এবং ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল আলী শহীদ রানা টিপুর অনুসারী মন্টু, মাসুদ, মাহাতাব ও ইউপি সদস্য হযরত আলী, জসিম, ঠিকাদার জামাল, রবিউল ইসলাম, হাকিম উদ্দিন, বাচ্চুর বাড়িতে ৬ থেকে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

 

আরও  পড়ুন:  টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বিএনপি-যুবদল নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার রাতে শহীদ রানা টিপুর সমর্থকেরা মো. ওমর আলী চেয়ারম্যানের লোকজনকে মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওমর চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা আজ সকালে শহীদ রানা টিপুর সমর্থকদের ওপরে হামলা করতে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে না পেয়ে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এমনকি দিনব্যাপী চলে ককটেল বিস্ফোরণ।

 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মতিউর রহমান।

 

তিনি বলেন, ১৪ থেকে ১৫ দিন আগে ছাগলে পটোলগাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলাম মন্টু ও সাদিকুল ইসলাম সাধুর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারধর হয়। এতে চারজন আহত হন।

 

ওসি আরও জানান, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে আবার ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন