ছয় মাসে বিঘাপ্রতি লাভ ৭০ হাজার টাকা, পানিফল চাষে ঝুঁকছেন সাতক্ষীরার চাষিরা

১১ ঘন্টা আগে
সাতক্ষীরায় দিন দিন বাড়ছে পানিফল চাষ । জলাবদ্ধ ও পতিত জমিতেও চাষ করা যায় বলে স্বল্প সময়ে ভালো লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বাড়ছে পানিফলের। বাজারের চাহিদা মাথায় রেখে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে এই ফল। চাষাবাদে খরচ কম, বিপরীতে অল্প সময়ে ভালো লাভ পাওয়া যায়, তাই আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।

 

পানিফল মূলত একটি জলজ উদ্ভিদ। পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতেও সহজেই চাষ করা যায়, যা কৃষকদের জন্য বড় সুবিধা। এর মাধ্যমে কৃষকরা নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন এবং বেকারত্ব কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

 

আরও পড়ুন: ফলন কমলেও দাম বেড়েছে, সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা

 

চাষিরা জানান, পানিফলের ফলন আসে প্রায় তিন মাস বয়সে এবং এরপর আরও তিন মাস ধরে এই ফলন পাওয়া যায়। মোট ছয় মাসে বিঘা প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ করে ৭০-৮০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করা সম্ভব। এতে যেমন চাষিরা লাভবান হন, তেমনি শ্রমিকরাও দিনে ৬ ঘণ্টা কাজ করে সাড়ে ৩শ’ টাকা উপার্জন করতে পারে এবং সংসার চালাতে সক্ষম হন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পানিফল চাষের পরিমাণ বেড়েছে। পানিফল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল, যা মানবদেহে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই চাষ আরও বাড়ানোর জন্য স্বল্প সুদে ঋণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত বছর জেলায় ১৩৬ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে। চলতি বছর তা ২৮ হেক্টর বেড়ে ১৬৪ হেক্টরে পৌঁছেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন