বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, চীনে নতুন করে এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ। দেশটিতে এইচএমপিভি সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। যেন কোভিডের প্রথম দিকের পরিস্থিতির স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে এই চিত্র। যদিও চীন স্পষ্ট করে কিছু না বলায়, এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে মিসৌরি, কানসাস, নেব্রাস্কা এবং আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এইচএমপিভি সংক্রমণের হার বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের ৫ দশমিক আট তিন শতাংশ এইচএমপিভি পজিটিভ। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে।
এছাড়াও ভারত, মালেয়শিয়া, হংকংয়েও এই ভাইরাসের সংক্রমণে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এরই মধ্যে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রসহ বেশকিছু রাজ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। আর মাস্ক পরার পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছে মালেয়শিয়া সরকার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত এক নারী মারা গেছেন। মহাখালী সংক্রামকব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সানজিদা আক্তার (৩০) নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ার টিকা কি এইচএমপিভি সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে?
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংক্রামকব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার। তিনি জানান, ওই নারী বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান। তবে তিনি যে শুধু এইচএমপি ভাইরাসের জন্যই মারা গেছেন, এটা বলা যাচ্ছে না। ওনার অন্য আরও শারীরিক জটিলতা ছিল, যার জন্য হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
আইইডিসিআর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ জানুয়ারি) একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন।
]]>