রোববার (২৫ মে) আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটান্সকে ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন আগে ব্যাট করা চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নামা গুজরাট ১৮.৩ ওভারে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায়।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে একদম তলানির দল হিসেবেই আসর শেষ করল চেন্নাই। অন্যদিকে গুজরাট ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছে। দুই ও তিনে থাকা পাঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু এক ম্যাচ করে কম খেলেই ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। নিজ নিজ শেষ ম্যাচে জয় পেলে শীর্ষে দুইয়ে উঠে যাবে পাঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকা মুম্বাইয়েরও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আজকের ম্যাচটিই চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনির ক্যারিয়ারের শেষ আইপিএল ম্যাচ হতে পারে। আগামী মৌসুমে তিনি আইপিএলে ফিরবেন কি-না তা এখনও নিশ্চিত করেননি তিনি। ম্যাচ শেষে এই ৪৩ বছর বয়সী উইকেটকিপার বলেন, 'সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমার হাতে ৪-৫ মাস আছে; তাড়াহুড়োর কিছু নেই। শরীর ফিট রাখতে হবে। আপনাকে আপনার সেরা অবস্থায় থাকতে হবে। ক্রিকেটাররা যদি তাদের পারফরম্যান্সের জন্য অবসর নেয়া শুরু করে, কাউকে কাউকে ২২ বছরেই অবসরে যেতে হবে। আমি আপাতত রাঁচি ফিরে যাব এবং বাইক ভ্রমণ উপভোগ করব।'
আরও পড়ুন: আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রীতি জিনতা
'আমি শেষ করছি বলছি না, ফিরব সেটারও নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। আমার সময়ক্ষেপণের বিলাসিতার সুযোগ আছে। এটা নিয়ে ভাবব, এরপর সিদ্ধান্ত নেব।'–তিনি যোগ করেন।
এদিন চেন্নাই বড় স্কোর গড়েছে দেভাল্ড ব্রাভিস ও ডেভন কনওয়ের ঝড়ো অর্ধশতকের সঙ্গে আয়ুশ মাহাত্রে, উরভিল প্যাটেলদের ত্রিশোর্ধ ইনিংসে ভর করে।
দারুণ সূচনা এনে দেয়া আয়ুশ ১৭ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রান করে ফিরে গেলেও অর্ধশতক হাঁকান আরেক ওপেনার কনওয়ে। ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করেন এই কিউই।
ঝড় তুলেছিলেন উরভিলও। মাত্র ১৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি। শিভম দুবে ৮ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে ফিরে গেলেও ঝড় তুলেছিলেন ব্রাভিস। বেবি এবি খ্যাত এই প্রোটিয়াই শেষ বলে আউট হওয়ার আগে চেন্নাইকে রানের পাহাড়ে তোলেন। মাত্র ২৩ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৭ রান করেছেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজা ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
গুজরাটের পক্ষে প্রসিধ কৃষ্ণা ২২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। সাই কিশোর, রশিদ খান ও শাহরুখ খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: ইপিএলের চেয়েও আইপিএল বড়: আইয়ার
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আনসুল কাম্বোজ, নূর আহমেদ ও জাদেজার তোপের মুখে পড়ে গুজরাট। ৮৬ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা। অধিনায়ক গিল ১৩, বাটলার ৫, শাহরুখ খান ১৯ রান করে আউট হন। রাদারফোর্ড তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শুধু সাই সুদর্শন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৬ চারে ৪১ রান করেন।
রাহুল তেওয়াটিয়া ১৪, রশিদ খান ১২, কোয়েতজে ৫, আরশাদ খান ২০, সাই কিশোর ৩ রান করে আউট হন। সিরাজ ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
কাম্বোজ ও নূর ৩টি করে এবং জাদেজা ২টি উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেট দুটি খলিল ও পাথিরানা ভাগাভাগি করে নেন।