মামলার এজাহারে ওই নারী (সীমা রায়) অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তিনি সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের সঙ্গীতা মোড়ের পাশের জবেদ আলীর ভাড়াবাড়ি থেকে বের হয়ে সুলতানপুর বড়বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বড়বাজারের ভ্যারাইটি স্টোর্সের সামনে দিয়ে দিবা-নৈশ কলেজের দিকে যাওয়ার সময় দুই যুবককে তার পেছনে পেছনে হাঁটতে দেখেন। সুশীল ময়রার দোকানের সামনে পৌঁছালে তাকে অনুসরণকারী দুইজনের মধ্যে একজন পেছন থেকে তার ঘাড়ে হাত দেয়।
তিনি পেছনে ফেরা মাত্রই নাকের কাছে কিছু একটা স্প্রে করা হয়। একপর্যায়ে ওই দুইজন তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে একটি সেলুনের দোকানের পাশের গলিতে নিয়ে যায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গলায় থাকা ৫ আনা ওজনের সোনার চেইন, চার আনা ওজনের একজোড়া সোনার কানের দুল, চার আনা সোনা বাঁধানো হাতের দুটি শাখা খুলে নেয় তারা। তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ও ১৩৫০ টাকা ওজনের একটি মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। ছিনতাই হওয়া মালামালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: চালকদের চেতনানাশক খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করতো চক্রটি
একপর্যায়ে তারা তার কাছে একটি শপিং ব্যাগে থাকা এক কেজি ওজনের লবণের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে সাহা সুইটস এ দিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিনুল হক জানান, এ ঘটনায় সীমা রায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্বাস আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আব্বাস আলী জানান, তদন্তভার পাওয়ার পর ওই দুই ছিনতাইকারীর পরিচয় জানার জন্য পিএন হাইস্কুলের পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

৩ দিন আগে
৩








Bengali (BD) ·
English (US) ·