বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বসে থেকেও জেলা প্রশাসনের কাউকে না পেয়ে বিকেল ৩ টায় কার্যালয়ের সামনে বসে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষুব্ধ আহতরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সারা দেশের মতো জামালপুরেও আহতদের মাঝে জেলা প্রশাসকের ১ লাখ টাকা করে চেক বিতরণের জন্য পত্র দেয়া হয়। সকাল ১১টায় বিতরণের সময় দেয়া হয়। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চেক নিতে এসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সভাকক্ষে বসে থাকি। পরে খবর আসে জেলা প্রশাসক হাসিনা বেগম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করতে গেছেন। প্রায় তিন ঘণ্টা সময় অপেক্ষায় থাকা আহতরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে না খেয়ে এসেছেন তাদের কেউ খোঁজ পর্যন্ত নিতে আসেনি। এতে তারা সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেমে বিক্ষোভ করে।’
তারা অভিযোগ, জেলা প্রশাসক তাদের অবহেলা করেছেন।
রাজধানীতে আহত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আহত দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয় ১৫ তারিখ ১১ টায় চেক বিতরণ করা হবে। এখবর পেয়ে আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। সকাল ১১ টার আমরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রবেশ করেছি। ১১ টা থেকে আড়াই টা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় আমাদের কাছে কেউ যায়নি। একটা পিওনও আমাদের খোঁজ নিতে যায়নি। আমাদের অবহেলা করছে। এ অবহেলায় আমরা বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: তালিকায় জুলাইয়ের ‘ভুয়া আহত’, চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে হট্টগোল
পরে বিকেল সাড়ে তিন দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জামালপুরের আহত ৬৭ জনের ভেতরে চেক বিতরণ করা হয়।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের অনুষ্ঠানে ছিলাম। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণে গেছে। অনুষ্ঠান শেষে করার আগেই দ্রুত চলে এসে আহতদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে। এঘটনায় কর্মচারীরা আহতদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
জনগুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার দাবি করেন জেলা প্রশাসক।
বিক্ষোভ শেষে বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জামালপুরের আহত ৬৭ জনের মাঝে চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।