চুলের সমস্যায় নারী-পুরুষ সবাইকে কম বেশি ভুগতে হয়। বিভিন্ন বাজারজাত তেল ব্যবহার করে চুলের যত্ন করেও পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বেছে নিন ঘরোয়া উপায়। বিভিন্ন কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ভেষজ তেল তৈরি করুন খুব সহজে।
ঘরে নারকেল তেল বানানোর উপায়:
পরিমাণ মতো নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। কোরানো নারকেলের সঙ্গে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে বেটে বা ব্লেন্ড করে নারকেল থেকে দুধ আলাদা করে নিতে হবে। ছেঁকে নেয়া নারকেল দুধ ৮-৯ ঘণ্টা ভালোমতো ঢেকে রেখে দিলে দুধ জমাট বেঁধে যাবে।
জমাট বাঁধা নারকেল দুধ চুলায় অল্প আঁচে জাল দিয়ে দিয়ে তেল বের করতে হবে। একসময় দেখা যাবে নারকেল দুধ ছানার মতো হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে গিয়েছে এবং তেল আলাদা হয়ে ফেনা উঠছে। এর ফেনা ওঠা নারকেল ঠান্ডা করে ছেঁকে তেল আলাদা করে ফেলতে হবে। এভাবে ঘরেই তৈরি হয়ে যাবে খাঁটি নারকেল তেল।
এরপর এই তেলকে চুলের জন্য পুষ্টিগুণসম্পন্ন করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন: পেয়াঁজ, অ্যালোভেরা, জবা ফুল, আমলকী, কারি পাতা, নিমপাতা, মেথি, চা পাতা মিশিয়ে নিতে হবে।
যে কারণে এসব উপাদান ব্যবহার করবেন-
১। পেয়াঁজ চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
২। অ্যালোভেরা চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে ও চুল মসৃণ রাখে।
৩। জবা ফুল চুল পড়া কমায়।
৪। আমলকী চুলে পুষ্টি জোগায় ও গোড়া থেকে চুলকে মজবুত করে।
৫। কারি পাতা চুলের খুশকি দূর করে চুলকে মজবুত করে।
আরও পড়ুন: যে কারণে জরুরী রাতের রূপচর্চা
৬। নিমপাতা মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে ও চুলকানির সমস্যা নিরাময় করে।
৭। মেথি চুলকে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
৮। চা পাতা চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলকে করে রেশম, কোমল।
ঘরে তেল বানানোর জন্য উল্লিখিত সব উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করা যায় আবার আলাদা করেও ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: চুলের যত্নে ২টি খাবার খেলেই ম্যাজিক!
যেভাবে এ উপাদানগুলো তেলে যোগ করবেন:
চুলায় পাত্র গরম করে পরিমাণমতো নারকেল তেল দিয়ে নিন। নারকেল তেল হালকা গরম হয়ে এলে সব কটি বা কয়েকটি উপাদান এক এক করে দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত সব কটি উপাদানে ভাজা ভাজা ভাব না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত নেড়ে তেলটি বানাতে হবে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে। এ তেল অবশ্যই কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
নিয়মিত এ তেল ব্যবহারে চুলের পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই।
]]>