চুরির ঘটনায় ১১ দিন বয়সি কন্যাকে নিয়ে কারাগারে মা

২ সপ্তাহ আগে
গত সপ্তাহে খুলনা নগরীতে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরির ঘটনা। শাহজাদী নামের যে নারী শিশুটিকে চুরি করেছিলেন তিনি তার ১১ দিন বয়সি কন্যাকে নিয়ে এখন কারাগারে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত শাহজাদীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় তার পক্ষে কেউ জামিন আবেদন করেননি। ছিলেন না কোনো আইনজীবী। তাই শুনানিও হয়নি। 

 

১১ দিন বয়সি কন্যাশিশুকে দেখাশোনা করার কেউ না থাকায় শাহজাদীর সঙ্গে তাকেও খুলনা জেলা কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।

 

হাসপাতাল, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের রামপাল থেকে খুলনা নগরীর ড্যাপস হসপিটালে ভর্তি করে স্বামী সিরাজুল ইসলাম। ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে পঞ্চম কন্যার জন্ম দেন তিনি। 

 

এর পরপরই তাকে হাসপাতালে রেখে সটকে পড়েন স্বামী সিরাজুল ইসলাম। আর যোগাযোগ করেননি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শাহজাদী ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে একই হাসপাতালে জন্ম নেয়া আরেক নারীর নবজাতক শিশু চুরি করেন। 

 

আরও পড়ুন: খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ১১ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

 

এ নিয়ে হইচই শুরু হলে পরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ওই দিন সন্ধ্যায় নবজাতককে উদ্ধার করে ও পুলিশ। আটক করা হয় শাহজাদীর মা নার্গিস বেগমকে। চুরি যাওয়া শিশুর বাবা মির্জা সুমনের মামলায় নার্গিস বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর অসুস্থ থাকায় শাহজাদীকে হাসপাতালে একটি কক্ষে বন্দি রাখা হয়।

 

শাহজাদীর ভাই শাহজাদা জানান, তার বোনের শ্বশুরবাড়ি রামপালের আদাঘাটে। কিন্তু বিস্তারিত ঠিকানা তিনি দেননি। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালেও শাহজাদীর শ্বশুরবাড়ির কোনো আত্মীয়কে পাওয়া যায়নি।

 

হাসপাতালের ব্যবস্থাপক এনামুল হক জানান, রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ছাড়পত্রের দিনও শিশুর বাবা-মামা হাসপাতালে আসেননি। শাহজাদীর দুর সম্পর্কের এক ভাই বিল পরিশোধ করেছেন।

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশকসহ জেলে আটক

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের এসআই শাহীন কবির জানান, আসামি সুস্থ হওয়ায় আইন মেনে তাকে আদালতে তোলা হয়।

 

খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে কর্মরত প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই বোধন চন্দ্র বিশ্বাস (জিআরও-সদর) জানান, আদালতে শাহজাদীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। কেউ জামিন আবেদনও করেননি। আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নবজাতকের বিষয়টি পৃথকভাবে কেউ আদালতকে জানায়নি। প্রথা অনুযায়ী নবজাতককে মায়ের সঙ্গেই থাকতে দেয়া হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন