চুরি হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর নবজাতককে উদ্ধার করল পুলিশ

৩ সপ্তাহ আগে
খুলনায় হাসপাতাল থেকে চুরির ৬ ঘণ্টা পর নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক নারীসহ ৩ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। এদিকে শিশুটিকে পেয়ে আনন্দিত বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড়ে অবস্থিত ড্যাপস্ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তৃতীয় তলা থেকে ওই নবজাতককে চুরি করা হয়।

 

নবজাতকের মা ফারজানা বেগম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। অপর পাশের বেডে নবজাতক তার নানির পাশে শুয়ে ছিল। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাচ্চা নেই।

 

আরও পড়ুন: রাস্তার পাশে বাজারের ব্যাগে পাওয়া গেল নবজাতকের মরদেহ

 

নবজাতকের আত্মীয়-স্বজনরা জানান, মোংলা থেকে আসা সুজন ও ফারজানা দম্পতির চারদিন আগে ছেলে সন্তান হয়। আজ দুপুরে তৃতীয় তলা থেকে ওই নবজাতককে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় দ্বিতীয় তলায় থাকা এক নারী তৃতীয় তলা থেকে এক শিশুকে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছে।

 

নবজাতকের বাবা সুজন বলেন, গণমাধ্যম এবং প্রশাসন ও চিকিৎসকদের সহযোগিতায় শিশুটিকে ফিরে পেয়েছি। খুব আনন্দ লাগছে।

 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) শিহাব করিম বলেন, সংবাদ পেয়ে আসার পর প্রথমেই সিসিটিভি ফুটেজ চেক করি। আমাদের পুরো টিম কাজ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক নারীর চলাচলে সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহের কারণে আমরা যাচাই-বাছাই করি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এইকাজের সঙ্গে জড়িত ৩ সন্দেহভাজনকে হেফাজতে আনা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রূপসার ট্রাফিক মোড়ের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু; সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতার

 

চুরির কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা শিহাব করিম বলেন, ওই নারীও প্রসূতি মা। তিনিও একই হাসপাতালে ছিলেন। ওই নারীর ৫টি কন্যা সন্তান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণেই হয়তো ছেলে শিশুটিকে চুরি করেছিল। তাকেসহ ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন