২ সপ্তাহ আগে
৪
ইরানের পার্লামেন্টও বলেছে, নিজেদের পরমাণু অধিকার তারা কোন চাপেই ত্যাগ করবে না। এমন অবস্থায় পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা কতটা সফল হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। শুক্রবার (২৩ মে) ইতালির রোমে পরবর্তী ধাপের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে বেশ কয়েকবার পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে। দুপক্ষই আশার কথা শোনালেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। আলোচনার ক্ষেত্রে এটা তাদের ‘রেড লাইন’।
অন্যদিকে তেহরানও এই ইস্যুতে আগের অবস্থান থেকে একচুলও নড়েনি। গত বুধবার (২১ মে) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, চুক্তি হোক বা না হোক, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলবেই। তিনি আরও বলেন, ইরান কখনও কূটনীতি পরিত্যাগ করেনি। কিন্তু কোনোভাবেই অতিরিক্ত দাবি মানা হবে না।
আরও পড়ুন: ইরানের হুঁশিয়ারি / ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাদ দিতে বললে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা ব্যর্থ হবে
সরব হয় ইরানের পার্লামেন্টও। এক বিবৃতিতে দেশটির আইনপ্রণেতারা বলেন—‘অবাস্তব ও অহংকারপূর্ণ দাবিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’ তারা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পূর্ণ অধিকার রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানি আইনপ্রণেতারা বলেন, কোনো বিদেশি চাপ ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ আর ইরানের অনড় অবস্থান, সব মিলিয়ে রোমে হতে যাওয়া আলোচনায় সমঝোতার আশা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর আলোচনা ব্যর্থ হলে পরিস্থিতিতে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। মঙ্গলবার (২০ মে) এই গোয়েন্দা তথ্যের সাথে পরিচিত একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানায়।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·