চীনে থাকা নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা টোকিও’র

১ সপ্তাহে আগে
এবার জাপান, চীনে থাকা তাদের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে। সম্প্রতি তাইওয়ান সম্পর্কে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জাপান ও চীনের তীব্র কূটনৈতিক বিরোধের মধ্যে এই সতর্কতা জারি করল টোকিও।

এতে বলা হয়েছে, জাপান চীনে তার নাগরিকদের নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়াতে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছে। এছাড়া ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের’ বিষয়ে খোঁজখবর রাখা এবং তাদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। 

 

চীনে জাপানের দূতাবাসের জারি করা এই পরামর্শটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার তার চীনা প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনা করতে বেইজিং ভ্রমণ করছেন।

 

আরও পড়ুন:বিদেশি নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিলো জাপান 

 

দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের জন্য এই আলোচনা বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।  


এর আগে চীন তার নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ করে। যা জাপানের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত হানতে পারে কারণ সরকারী তথ্য অনুসারে, বর্তমানে সেখানে ভ্রমণকারীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ চীনা। এরইমধ্যে জাপানে পর্যটন-সম্পর্কিত শেয়ারের পতন ঘটেছে।


এদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচির এক মন্তব্যের পর, বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে গুরুতর কূটনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় চীন ও জাপানের মধ্যে। 

 

যখন তিনি এই মাসে জাপানি আইন প্রণেতাদের বলেছিলেন, তাইওয়ানের উপর চীনা আক্রমণ জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ, এর প্রতিক্রিয়ায় সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। 

 

এর জবাবে, জাপানে নিযুক্ত একজন চীনা কূটনীতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকাইচিকে লক্ষ্য করে একটি হুমকিমূলক মন্তব্য পোস্ট করেন।

 

আরও পড়ুন:মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় ৫০ জান্তা সেনা নিহত! 

 

তাইওয়ানকে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অঞ্চল বলে মনে করে চীন। যা তাইওয়ান সবসময় বিরোধীতা করেছে। 

 

সূত্র: রয়টার্স

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন