সেতুটি নদী ও বিশাল গিরিখাতের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে এবং নদীতল থেকে এর উচ্চতা ৬২৫ মিটার (২ হাজার ৫১ ফুট)। এটি একই প্রদেশের নির্মিত ৫৬৫ মিটার উচ্চতার বেইপানজিয়াং সেতুর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এই নতুন সেতুর উদ্বোধন চীনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের নতুন দিক উন্মোচন করেছে এবং দুর্গম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে।
রোববার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে সেতুটির ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী, স্থানীয় কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারা সরাসরি সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে সেতু নিয়ে গর্ব ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ‘বাংলাদেশি’ যুবক নিহত
গুইঝো প্রদেশের পরিবহন বিভাগের প্রধান ঝাং ইয়িন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু চালু হওয়ার ফলে দুই পাশের মানুষের যাতায়াতের সময় দুই ঘণ্টা থেকে কমে মাত্র দুই মিনিটে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, সেতুটি আঞ্চলিক পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।
গত কয়েক দশকে অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন। দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নগরায়ণের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। দুর্গম গুইঝো প্রদেশে হাজার হাজার সেতু রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ দুটি সেতুও রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদির কাছে পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করবে না পাকিস্তান: খাজা আসিফ
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০০ সেতুর প্রায় অর্ধেকই গুইঝো প্রদেশে অবস্থিত। ১ হাজার ৪২০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির প্রধান স্প্যান এটিকে পাহাড়ি এলাকায় নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্প্যানের সেতুর মর্যাদা দিয়েছে।
]]>