চীনকে ‘অপ্রতিরোধ্য’ বললেন প্রেসিডেন্ট শি

৪ সপ্তাহ আগে ১১
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্ব শান্তি অথবা যুদ্ধের মধ্যে একটি বেছে নেয়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার দেশের সর্ববৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এই সতর্কবার্তা দেন শি। এ সময় চীনকে অপ্রতিরোধ্য হিসেবে ঘোষণা করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনসহ আরও অনেক বিশ্বনেতা উপস্থিত ছিলেন।

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জাপানের পরাজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই জমকালো অনুষ্ঠানে পশ্চিমা নেতারা অনেকেই এটি এড়িয়ে গেছেন। 

 

আরও পড়ুন:তেল যেভাবে রাশিয়া, চীন ও ভারতকে আরও কাছাকাছি আনলো 


জিও নিউজ জানায়, চীনের সামরিক শক্তি এবং কূটনৈতিক প্রভাব তুলে ধরার জন্য এই কুচকাওয়াজ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক এবং অস্থির নীতি নির্ধারণের ফলে মিত্র এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে চীনের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

 

তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে ৫০,০০০ এরও বেশি দর্শকের সমাবেশে চীনা নেতা শি বলেন, ‘আজ, মানবজাতি শান্তি অথবা যুদ্ধ, সংলাপ অথবা সংঘর্ষ, জয়-জয় অথবা শূন্য-সমষ্টি, দুটির মধ্যে একটি বেছে নেয়ার মুখোমুখি। চীনা জনগণ ইতিহাসের সঠিক দিকে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।’


একটি খোলা লিমোজিনে চড়ে, শি এরপর সৈন্যবাহিনী এবং প্রদর্শনীতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক এবং ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম পরিদর্শন করেন।

 

চীনের সাবেক নেতা মাও সেতুং-এর পোশাকের স্টাইলে স্যুট পরে, শি এর আগে লাল গালিচায় উপস্থিত ২০ জনেরও বেশি নেতাকে অভ্যর্থনা জানান। 


শি-র স্ত্রী পেং লিয়ুয়ানকে ইংরেজিতে, আপনার সাথে দেখা করে ভালো লাগলো এবং চীনে স্বাগতম বলতে শোনা যায় বেশ অতিথিদের। 


রাশিয়ার পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার কিমের মাঝখানে বসে, শি উভয় নেতার সাথে কথা বলছিলেন। তাদের সামনে তখন  কুচকাওয়াজ চলছিল।

 

৭০ মিনিটের এই প্রদর্শনীতে প্রতীকী ও প্রচারণামূলক বড় ব্যানার নিয়ে হেলিকপ্টারগুলো এবং যুদ্ধবিমান উপরে উড়ে বেড়ায়। এরপর ৮০,০০০ শান্তির ঘুঘু এবং রঙিন বেলুন উড়িয়ে শেষ হয়।

 

এর আগে, শি একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনে (এসসিও) একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করেন। আধিপত্যবাদ এবং ক্ষমতার রাজনীতি এর বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান জানান।

 

মূল ভাষণে, শি চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনকে ‘অপ্রতিরোধ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:শেহবাজের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক, যে আলোচনা হলো

 

কয়েক সপ্তাহের কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি এবং মধ্যরাতের মহড়ার সমাপ্তি হিসেবে বেইজিংয়ের প্রধান সড়ক এবং স্কুলগুলো কুচকাওয়াজের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কুচকাওয়াজের লক্ষ্য কেবল বহির্বিশ্বের কাছে চীনের শক্তি তুলে ধরাই ছিল না, বরং দেশপ্রেমের চেতনা জাগানোও ছিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন