নারী এশিয়ান কাপে রেকর্ড নয়বারের চ্যাম্পিয়ন চীন, গ্রুপের আরেক দল উত্তর কোরিয়া তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। এই দুই দলের তুলনায় অবশ্য উজবেকিস্তান কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ, তবে এশিয়ান কাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে একাধিকবার।
অন্যদিকে এবারই প্রথমবার এএফসি নারী এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্ব পেরুনো কঠিন হলেও কোচ বাটলারের বিশ্বাস, সবই সম্ভব।
আগামী বছরের মার্চে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সরাসরি উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাকি দুটি দল সুযোগ পাবে তিন গ্রুপের তৃতীয় সেরা তিন দলের মধ্য থেকে। নকআউটের আট দল সরাসরি অলিম্পিকসে খেলার সুযোগ পাবে। সেরা ছয়ে থাকতে পারলে সুযোগ মিলবে সরাসরি ২০২৭ ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়ান কাপের সূচি চূড়ান্ত, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কোথায়
গ্রুপ পর্ব টপকানো বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিনই বটে, তবে ইংলিশ কোচ বাটলার দল নিয়ে বেশ আশাবাদী। বাফুফের মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বাটলার জানিয়েছেন, তার দল আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো।
‘গ্রুপটা খুবই কঠিন, তবে আমি মুখিয়ে আছি। আমার মনে হয়, এটা মেনে নেওয়া ও উপভোগ করা উচিত। আমার ও দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ১২ মাস আগে আমরা চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে খেলেছিলাম এবং তখন বেশ ভালো পারফর্ম করেছিলাম। তারপর থেকে ধীরে ধীরে দলে পরিবর্তন এনেছি, উন্নতি করেছি ও ধারাবাহিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি।’
বাটলার আরও বলেন, ‘১২ মাস আগের চেয়ে আমরা এখন ভালো দল। ৬ মাস, এমনকি ৩ মাস আগের চেয়েও ভালো অবস্থানে আছি। বিশ্বাস করি, আমরা উন্নতির পথে আছি। চীনের বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন হবে, উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষেও তাই; কিন্তু সবকিছুই সম্ভব। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং সবাইকে বলতে চাই আমরা লড়াই করবো, নিজেদের সর্বোচ্চটা দেব।’
আরও পড়ুন: ই চ্যাম্পিয়ন দলকে পেল বাংলাদেশ, গ্রুপ পর্ব পেরোনো কতটা কঠিন?
সম্প্রতি শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছেন ঋতুপর্ণারা। শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্র করেছে। আরেক শক্তিশালী দল মিয়ানমারকে তাদেরই মাটিতে হারিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে বড় দলের সাথে খেলার আশা ব্যক্ত করেছেন পিটার বাটলার।
‘আমার পরিকল্পনা আছে, তবে সবকিছু বাফুফের অর্থায়নের ওপর নির্ভর করছে। কথা বলা সহজ, আমি বলতে পারি সৌদি আরবে খেলতে চাই অথবা অন্য কোথাও যেতে চাই। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমি কেবল অনুরোধ করতে পারি, বাকিটা বাফুফের ব্যাপার।’
বাংলাদেশ দলের কোচ আরও বলেন, ‘আমি পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে থাকি। এরপর সবকিছু নির্ভর করে কর্তৃপক্ষের ওপর। আশা করছি, আমরা কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবো।’
]]>