টাকা ছাড়া নড়েন না কেউ-- সরকারি হাসপাতালে এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। হাসপাতালে সেবা নিতে হলে পড়তে হবে দালালের খপ্পরে, গুণতে হবে বাড়তি টাকা। অ্যাম্ব্যুলেন্স-ট্রলি বাণিজ্য থেকে শুরু করে অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত যেতে নিঃস্ব হয়ে যান রোগীর স্বজনরা! এ যেন গরিবের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এরপরও কিছুই করার নেই, নিয়তির নির্মমতায় বন্দি চিকিৎসাসেবা।
ভোগান্তির গল্প আছে আরও। দিনের পর দিন নানা অজুহাতে থমকে থাকে চিকিৎসা। দায়িত্বরতদের অবহেলা আর দুর্ব্যবহারও সইতে হয় নীরবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কমিশন বাণিজ্যের কারণে অনেক সময় পাঠানো হয় বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে ব্যয় বহনের সামর্থ্য আছে কতজনের?
আরও পড়ুন: দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল হবে চীনের বিনিয়োগে
যদি শহরের চিকিৎসা সেবার এই চিত্র হয়, তাহলে গ্রামের অবস্থা কী? দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এই যে এত এত অভিযোগ-- সবখানে অনিয়ম-হয়রানি, এরপরও কেন পাল্টাচ্ছে না চিত্র? কে দেবে এমন প্রশ্নের উত্তর?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মফস্বলে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে খরচ কমানো কঠিন। সেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যখাতে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
চিকিৎসা কার্যক্রমে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার অভাব ও দক্ষ জনবল সংকটকে দুষছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
আরও পড়ুন: খাবার খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগলে করণীয়
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন,
বাংলাদেশে একটা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা তৈরি হয়নি। এ দেশের মানুষের সংখ্যা অনুপাতে কতজন চিকিৎসক, কতজন নার্স, কতজন টেকনোলোজিস্ট দরকার, সেই অনুপাতে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা অনুযায়ী কীভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে, তার একটি ধাপে ধাপে পথ-নকশা এবং মানুষকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রটি উন্নয়নের জন্য কীভাবে নিয়ে যাওয়া হবে, সেই ব্যাপারটি নির্দিষ্ট হওয়া দরকার।
বরাবরের মতো চলতি বাজেটেও স্বাস্থ্যখাতকে দেয়া হয়নি গুরুত্ব। চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৪ শতাংশেরও কম।
]]>