চালু হচ্ছে আন্তঃ এমএফএস লেনদেন, বাড়বে ব্যয়

৩ সপ্তাহ আগে
দেশের আর্থিক খাতে যুক্ত হচ্ছে এক নতুন লেনদেন সুবিধা। এর আগে শুধুমাত্র বিকাশ, নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে অর্থ লেনদেন করতে পারলেও, আগামী ১ নভেম্বর থেকে গ্রাহকরা অন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টেও টাকা পাঠাতে পারবেন। তবে আন্তঃ এমএফএস লেনদেনে খরচ কিছুটা বাড়বে।

গ্রাহকরা এই খরচ কমানোর দাবি জানালেও ব্যাংকাররা বলছেন, বাড়তি সুবিধা নিতে কিছুটা অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।

 

দেশে ২০১১ সালে চালু করা হয়ে মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস সেবা। যার মাধ্যমে নগদ অর্থ জমা-উত্তোলন, প্রবাসী আয় পাঠানো, কেনাকাটা ও বিভিন্ন বিল দেয়াসহ নানা সেবা নিতে পারেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য, দেশে মোট এমএফএস অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১৪ কোটি সাড়ে ৬৪ লাখ। প্রতি মাসে এসব অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট ও বিল পে সহ বিভিন্নভাবে মোট লেনদেন হয় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।

 

বর্তমানে এমএফএস সেবাদাতা কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারলেও এক সেবাদাতা অন্য এমএফএসে লেনদেন করতে পারে না। তবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে আন্তঃএমএফএস লেনদেন সুবিধা। এক্ষেত্রে প্রতি হাজার টাকা পাঠাতে চার্জ পড়বে সাড়ে ৮ টাকা; আর ব্যাংক থেকে এমএফএসে খরচ দেড় টাকা। এছাড়া ব্যাংক থেকে পিএসপিতে হাজারে মাত্র ২ টাকা চার্জ দিতে হবে।

 

আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে বিকাশ-নগদ-রকেটে সরাসরি পাঠানো যাবে টাকা, গুনতে হবে ফি

 

তবে আগের মতোই থাকছে প্রতিষ্ঠানভেদে উত্তোলন বা ক্যাশ-আউট চার্জ। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই সিদ্ধান্ত গ্রাহক ভোগান্তি কমালেও বাড়বে ব্যয়। ভোক্তা-এজেন্টরা বলছেন, এই সুবধিা চালু হওয়ায় গ্রাহক-এজেন্ট সবার জন্যই ভালো হবে। তবে চার্জ এতো বাড়ানো ঠিক হবে না; কিছুটা কমানো উচিত।

 

বাড়তি সুবিধা পেতে, গ্রাহককেই বাড়তি ব্যয়ের চাপ নিতে হবে- বলে দাবি ব্যাংকারদের। ব্রাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মাঈনুদ্দিন বলেছেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। নগদ থেকে বিকাশ বা বিকাশ থেকে নগদে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে যে সুবিধা বা কনভিনিয়েন্স থাকবে, তা সরাসরি অর্থের মূল্যে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। যাদের জন্য সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ, তারা এই সুবিধাটিকে বেশি গুরুত্ব দেবে, আর যাদের কাছে খরচ গুরুত্বপূর্ণ, তারা খরচের ভিত্তিতে দেখবে কোন মাধ্যমটি বেটার।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে গ্রাহক স্বার্থ সামনে রেখেই সাজানো হচ্ছে আগামীর সব পরিকল্পনা। মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ক্যাশলেস সোসাইটি হয়ত শতভাগ করা সম্ভব হবে না; তবে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করা হবে।

 

উল্লেখ্য, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ব্যাংক, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো এই লেনদেন শুরু করবে। যা একযোগে শুরু হবে সারা দেশে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন