চার জেলার ১১ দল নিয়ে কুশিয়ারা নদীতে হয়ে গেল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

৪ সপ্তাহ আগে
প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুশিয়ারা নদীর বুকে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর হামরকোণা গ্রামবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচে সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ১১টি দল অংশ নেয়।

দীর্ঘদিন পর এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা প্রাণের স্পন্দন ছড়িয়ে দিল। কুশিয়ারা নদীর উত্তাল ঢেউ আর বিস্তীর্ণ জলের বুকে এগিয়ে চলছে- শাহ পরানের তরী, শাহ্ মোস্তফার তরী, কুশিয়ারার তরী, ফানাই শাহ্ তরী, নগর পবন, ইমানের তরী ও ইফসুপ শাহ্ এর তরী। সিলেট ও মৌলভীবাজারের মধ্যস্থলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ায়, দুই জেলার কয়েক হাজার দর্শক নদী তীরে দাঁড়িয়ে এ উৎসব উপভোগ করেন।

 

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার ১১টি বাইচের নৌকা নিয়ে অংশ নেয় মাঝিমাল্লারা। প্রতিযোগিতা হয় ছয়টি ধাপে। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয় তিনটি দল। বাঁশিতে ফু পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই, প্রতিযোগীরা প্রত্যেকে ছুটেন নৌকা নিয়ে। একই সময়ে হৈ হুল্লোড়, ঢোল, কাঁসার সঙ্গে নেচে গেয়ে গোটা এলাকাকে প্রকম্পিত করে তুলেন মাঝিমাল্লারা।

 

আরও পড়ুন: রংপুরে ৩৮ কোটি টাকায় নির্মিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের বেহাল দশা


শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ; সবাই এ উৎসবে অংশ নেন। নেচে গেয়ে তারা উৎসাহিত করেন প্রতিযোগীদের। সঙ্গে জানান তাদের উচ্ছ্বাস আর আনন্দের কথা। কুশিয়ারা নদীর আলীপুর থেকে শেরপুর অক্সিঘাট পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এ নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়েছিল।

 

শরতের এ পড়ন্ত বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ প্রাচীনকাল থেকেই মৌলভীবাজার অঞ্চলের সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ বারের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মরম আলীর নৌকা প্রথম স্থান অধিকার করে। দ্বিতীয় স্থান সুনামগঞ্জ জেলার এশকের তরী এবং  তৃতীয় স্থান সিলেটের কানাই শাহ তরী অর্জন করেছে। প্রথম স্থান অর্জনকারীকে একটি মোটরসাইকেল, দ্বিতীয়  ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ফ্রিজ পুরুষ্কার দেওয়া হয়। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন