এনিয়ে রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন।
ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘পদ্মার চরে কাকন বাহিনীসহ ১১টি সন্ত্রাসী বাহিনীর আধিপত্য। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মানুষ হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিমতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ৫৮ এবং কুষ্টিয়া এলাকা থেকে মোট
৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক, ৬টি পিস্তল, ২৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি মোটরসাইকেল ও মাদকদ্রব্য। কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোর্ড, অস্ত্র রাখার সিলিন্ডার।
তিনি বলেন, ‘অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল পদ্মাপাড়ের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলমান সন্ত্রাস, মাদক পাচার, অস্ত্র ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অবসান ঘটানোর জন্য এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ অঞ্চল বহু বছর ধরে কাকন বাহিনী, টুকু বাহিনী, সাইদ বাহিনীসহ নানা চক্রের দখলে ছিল। তারা খুন, জমি দখল, চোরাচালান, ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে জনগণকে আতঙ্কে রেখেছিল। এই অপারেশনের মাধ্যমে আমরা এই চরাঞ্চলকে অপরাধমুক্ত করতে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: পদ্মার চর বেচে দিচ্ছে কাকন বাহিনী, অস্ত্রের মহড়া-খুনে আতঙ্ক
শনিবার দিনগত ভোরে অপারেশন ‘ফাস্ট লাইট’ শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএনের ১২শ’ সদস্য এ অভিযানে অংশ নেন।
গেল ২৭ অক্টোবর চরে কাশের খড় দখলকে কেন্দ্র করে কাকন বাহিনীর গুলিতে বাঘায় আমান ও নাজমুল নিহত হয়। নিহত হন কাকন বাহিনীর এক সদস্য।
এর আগে পদ্মা নদীতে বড় বড় নৌকা ও স্পিডবোটে সশস্ত্র মহড়া দেয় কাকন বাহিনীর সদস্যরা। দখল করে পদ্মার চরের বালুমহল, কাশবন ফসলের মাঠ। গুলি করা, মানুষ হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ উঠে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার সময় টেলিভিশনে কাকন বাহিনীকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করে। এরপর রোববার এই অভিযান শুরু হয়।

২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·